উত্তর: যে ছাত্ররা এ শিক্ষা গ্রহণ করে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব হলো কোনো প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্দ্ধন, অস্বীকার কিংবা দৃষ্টান্ত পেশ করা ছাড়াই আল্লাহর নাম ও গুণাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করা। প্রকৃত পক্ষে এটিই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতি। এ মাযহাব তাদের কিতাবগুলোতে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত অনুযায়ী এ মাযহাবই সত্য। সালাফে সালেহীনের বক্তব্যও তাই। সুস্থ বিবেক এ মাযহাবকেই সমর্থন করে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা জ্ঞানার্জনের মাদরাসাকে দু’ভাগে ভাগ করে থাকেন। একটি আল্লামা ইবন তাইমিয়া ও তাঁর ছাত্রদের মাদরাসা এবং অন্যটি আশআরী ও মাতুরিদীয়াদের মাদরাসা। ইবন তাইমিয়ার মাদরাসার ছাত্রগণ কুরআন ও সুন্নাহর বক্তব্যকে তার বাহ্যিক অর্থ বাদ দিয়ে অন্য অর্থ গ্রহণ করার বিরোধীতা করেন। আর আশআরী ও মাতুরিদীয়া ফিরকার লোকেরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলীকে অপব্যাখ্যা করে থাকে।
সুতরাং আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে উভয় মাদরাসার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে যত আয়াত ও হাদীস এসেছে, কোনো প্রকার পরিবর্তন করা ছাড়াই সেগুলোর ক্ষেত্রে ঈমান আনয়ন করে থাকেন। আর দ্বিতীয় মাদরাসার লোকেরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পন্ন আয়াতগুলোকে তার আসল অর্থে ব্যবহার না করে অন্য অর্থে ব্যবহার করে থাকে। নিম্নের উদাহরণটির মাধ্যমে উভয় মাযহাবের মাঝে পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿بَلۡ يَدَاهُ مَبۡسُوطَتَانِ يُنفِقُ كَيۡفَ يَشَآءُۚ﴾ [المائدة: ٦٤]
“বরং তাঁর হাত দু’টি সদা প্রসারিত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা খরচ করেন।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৬৪]
ইবলীস যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করে আদমকে সেজদা করতে অস্বীকার করল তখন আল্লাহ তাকে ভৎর্সনা করতে গিয়ে বলেন,
﴿قَالَ يَٰٓإِبۡلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَن تَسۡجُدَ لِمَا خَلَقۡتُ بِيَدَيَّۖ﴾ [ص: ٧٥]
“আল্লাহ বললেন, হে ইবলীস! আমি যাকে আমার দু’টি হাত দিয়ে সৃষ্টি করেছি, তাকে সাজদাহ করতে কিসে তোকে বারণ করল?” [সূরা সুয়াদ, আয়াত: ৭৫]
উপরে বর্ণিত দুই মাদরাসার শিক্ষকরা আল্লাহর দুই হাত দ্বারা কী উদ্দেশ্য, তা নিয়ে মতবিরোধ করেছেন। প্রথম মাদরাসার লোকেরা বলেন, আয়াতের প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণ করতে হবে এবং আল্লাহর ক্ষেত্রে যেরকম হাত প্রযোজ্য, আল্লাহর জন্য সেরকম হাতই সাব্যস্ত করতে হবে। আর দ্বিতীয় মাদরাসার ছাত্ররা বলে থাকে, হাতকে তার আসল অর্থে ব্যবহার করা যাবেনা। তাদের মতে আল্লাহর জন্য প্রকৃত হাত সাব্যস্ত করা হারাম। তাদের মতে হাতের উদ্দেশ্য হলো কুদরাত (শক্তি) অথবা নি‘আমত।
সুতরাং উভয় মাযহাবের ভিতরে এতো পার্থক্য থাকা সত্বেও মাযহাব দু’টিকে একই কাতারে শামিল করা যায়না। উক্ত দু’মতের কোনো একটিকে বলতে হবে যে, তারা আহলে সুন্নাত বা সুন্নাতে উপর প্রতিষ্ঠিত। অন্যটিকে তা বলা যাবে না। এতদুভয়ের মধ্যে অবশ্যই ইনসাফের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। অতএব, তাদের মতামতগুলোকে ন্যায়ের মানদন্ডে মেপে দেখা কর্তব্য। আর সে ন্যায়ের মানদন্ডটি হলো আল্লাহর কিতাব, রাসূলের সুন্নাত এবং সাহাবী, তাবেঈ ও তাদের পূণ্যবান অনুসারী এবং মুসলিমদের ইমামগণের বক্তব্য। আতএব, উক্ত মানদণ্ডের পরিমাপ অনুযায়ী এ কথা সুস্পষ্ট যে, আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে ইবন তাইমিয়া এবং তার ছাত্রদের মাযহাবটি হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত এবং সালাফে সালেহীনদের মাযহাবের অনুরূপ। পক্ষান্তরে আশআরী সম্প্রদায়ের মাযহাব কুরআন-সুন্নাহ এবং সালাফে সালেহীনদের মাযহাবের পরিপন্থী। তারা বলে থাকেন আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পন্ন আয়াতগুলোকে যদি এমন অর্থের মাধ্যমে তাবীল (অপব্যাখ্যা) করা হয়, যাতে অন্য কোনো দলীলের বিরোধীতা হবে না, তাহলে কোনো অসুবিধা নেই।
আমরা তাদের উত্তরে বলব যে, কুরআনের কোনো শব্দকে বিনা দলীলে প্রকাশ্য অর্থ থেকে সরিয়ে অন্য অর্থে ব্যবহার করাই কুরআন-সুন্নাহর বিরোধীতা করার নামান্তর এবং আল্লাহ সম্পর্কে বিনা দলীলে কথা বলা ছাড়া অন্য কিছু নয়। আল্লাহর ব্যাপারে বিনা ইলমে কথা বলা হারাম। আল্লাহ তায়া,লা বলেন,
﴿قُلۡ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَ وَٱلۡإِثۡمَ وَٱلۡبَغۡيَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّ وَأَن تُشۡرِكُواْ بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ سُلۡطَٰنٗا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٣٣﴾ [الاعراف: ٣٣]
“আপনি বলে দিন, আমার রব কেবল অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন- যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গুনাহ, অন্যায়, অত্যাচার, আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, তিনি যার পক্ষে কোনো দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি এবং আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলাও হারাম, যে সম্পর্কে তোমাদের কোনো জ্ঞান নেই”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৩৩]
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿وَلَا تَقۡفُ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡبَصَرَ وَٱلۡفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَٰٓئِكَ كَانَ عَنۡهُ مَسُۡٔولٗا ٣٦﴾ [الاسراء: ٣٦]
“যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তর এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে”। [সূরা ইসরা, আয়াত: ৩৬] যারা আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর অপব্যাখ্যা করে, তাদের কাছে শরী‘আতের কোনো জ্ঞান নেই। এমন কি তারা সুস্থ বিবেক সম্পন্নও নয়।
বলা হয় যে, ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রহ. নিম্ন লিখিত তিনটি স্থানে তাবীল করেছেন:
(১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস “বনী আদমের অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মাঝখানে”
(২) হাজরে আসওয়াদ পৃথিবীতে আল্লাহর ডান হাত এবং
(৩) আল্লাহর বাণী, وَهُوَ مَعَكُمۡ أَيۡنَ مَا كُنتُمۡۚ [الحديد: ٤] “তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ তোমাদের সাথে আছেন। [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ৪]
উত্তরে আমরা বলব যে, ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল থেকে এধরণের কথা সহীহ সূত্রে প্রমাণিত নয়। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া রহ. বলেন, আবু হামেদ ইমাম গাজালী আহমাদ ইবন হাম্বলের নামে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মাত্র তিনটি স্থানে তাবীল করেছেন। স্থান তিনটি হলো, “হাজরে আসওয়াদ পৃথিবীতে আল্লাহর ডান হাত”, “বনী আদমের অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মাঝখানে” এবং “আমি যেন ইয়ামানের দিক থেকে আল্লাহর নিঃশ্বাস পাচ্ছি”। এ ধরণের কথা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
আর আল্লাহর বাণী, (وَهُوَ مَعَكُمۡ أَيۡنَ مَا كُنتُمۡۚ) “তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ তোমাদের সাথে আছেন। [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ৪] আহমাদ ইবন হাম্বাল রহ. এ আয়াতটির তাবীল করেন নি; বরং তিনি আয়াত থেকে সাব্যস্ত কতিপয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয় বর্ণনা করেছেন। তিনি জাহমিয়্যাহ ফিরকার প্রতিবাদে আল্লাহর ইলমকে সাব্যস্ত করেছেন। জাহমিয়্যাহ ফিরকার লোকেরা বলে আল্লাহ যদি সর্বত্র থাকেন, তাহলে আল্লাহ স্বশরীরে থাকা আবশ্যক হয়। এ জন্যই তারা উক্ত আয়াতের উল্টা ব্যাখ্যা করেছেন। আমরা বলি যে, আল্লাহ সাথে আছেন এ কথার অর্থ হলো জ্ঞানের মাধ্যমে সমস্ত মাখলুকাতকে বেষ্টন করে আছেন। এটা নয় যে, সৃষ্টিকুলের সাথে মিশে আছেন। সাথে থাকার অর্থ স্থানভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে। এ জন্যই বলা হয়ে থাকে, সে আমাকে দুধের সাথে পানি পান করিয়েছে, আমি জামা‘আতের সাথেই সালাত আদায় করেছি, তার স্ত্রী তার সাথে আছে।
উপরের উদাহরণ গুলোর প্রথম উদাহরণে দুধের সাথে পানির সংমিশ্রন বুঝায়। দ্বিতীয় উদাহরণে একে অপরের সাথে মিশে যাওয়া ব্যতীত একই স্থানে এক সাথে কাজ করা বুঝায় এবং তৃতীয় উদাহরণে সাথে থাকার অর্থ একই স্থানে বা একই কাজে থাকাকে আবশ্যক করে না। সুতরাং আল্লাহ বান্দার সাথে আছেন- একথার অর্থ এ নয় যে, আল্লাহ বান্দার সাথে মিশে আছেন অথবা একই স্থানে আছেন। এটা আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ, আল্লাহ রয়েছেন সমস্ত মাখলুকাতের উপরে। আল্লাহ আমাদের সাথে থাকার অর্থ এ যে, তিনি সাত আকাশের উপরে ‘আরশে আযীমে থেকেও শক্তি, ক্ষমতা, জ্ঞান, রাজত্ব, শ্রবণ, দেখা এবং পরিচালনার মাধ্যমে সমস্ত সৃষ্টিজীবকে বেষ্টন করে আছেন। সুতরাং সাথে থাকাকে কোনো ব্যাখ্যাকারী যদি জ্ঞানের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে, তাহলে আয়াতের দাবী থেকে বের হয়ে আসবে না এবং সে অপব্যাখ্যাকারীও হবে না। তবে যে ব্যক্তি সাথে থাকাকে একসাথে সর্বস্থানে, সবসময় বিরাজমান থাকা বুঝবে সে অপব্যাখ্যাকারী হিসাবে গণ্য হবে।
সমস্ত বানী আদমের অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মাঝখানে, যেভাবে ইচ্ছা তিনি তা ঘুরান- হাদীসটি মুসলিম শরীফে রয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা এ হাদীসের অপ ব্যাখ্যা করেন নি। তারা আল্লাহর শানে যে ধরণের আঙ্গুল প্রযোজ্য তা সাব্যস্ত করেন। এ কথার অর্থ এ নয় যে, আমাদের অন্তরগুলো আল্লাহর আঙ্গুলের সাথে লেগে আছে। মেঘমালা আকাশ এবং যমিনের মাঝখানে থাকে কিন্তু তা আকাশের সাথে মিশে থাকেনা, যমিনের সাথেও নয়। তাই বানী আদমের অন্তর আল্লাহর আঙ্গুলের সাথে মিশে থাকা জরুরি নয়।
হাজরে আসওয়াদ পৃথিবীতে আল্লাহর ডান হাত, যে তাতে স্পর্শ করল অথবা চুম্বন করল, সে যেন আল্লাহর হাতে স্পর্শ করল বা চুম্বন করল, এ হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম ইবন তাইমীয়া রহ. মাজমূ ইবন কাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়; বরং এ সম্পর্কে প্রসিদ্ধ কথা হলো এটি ইবন আববাসের নিজস্ব উক্তি। উপরোক্ত গ্রন্থে (৪৪/৩) সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, হাজরে আসওয়াদ আল্লাহর কোনো গুণ নয় বা তাঁর ডান হাতও নয়। যেহেতু বলা হয়েছে “পৃথিবীতে তাঁর ডান হাত” শুধু ডান হাত বলা হয় নি। সাধারণ অর্থ থেকে আলাদা হবে। তাই হাজরে আসওয়াদকে আল্লাহর ডান হাত বলা যাবেনা। সুতরাং তাকে তাবীল বা ব্যাখ্যা করার প্রশ্নই আসে না।
সহীহ আকীদা ও ইলম শিক্ষার মাদরাসাকে ইবন তাইমিয়ার মাদরাসা হিসাবে ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়। কারণ, তিনি নতুন কোনো মাদরাসা তৈরি করেন নি। তিনি সালাফে সালেহীনের পথই অনুসরণ করেছেন।
যারা আল্লাহর গুণাবলী সম্বলিত আয়াতসমূকে ব্যাখ্যা করে, তাদের ব্যাপারে আমরা বলব যে, তাদের নিয়ত যদি ভালো হয় এবং দীনের প্রতি আনুগত্যশীল বলে জানা যায়, তবে তাদের অপরাধ ক্ষমা করা হবে; কিন্তু তার কথা যে সালাফে সালেহীনের মাযহাব বিরোধী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা তাঁরা সর্বক্ষেত্রে আয়াতের প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণ করেছেন এবং তার উপর ঈমান এনেছেন। নিয়ত ভালো থাকা সত্বেও কোনো মানুষ যদি ইজতেহাদ করতে গিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তবে তাকে তিরস্কার করা যাবে না; বরং এতে সে ইজতিহাদের ছাওয়াব প্রাপ্ত হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ»
“বিচারক যদি ইজতিহাদ করে সঠিক ফায়সালা দেয়, তার জন্য দ্বিগুণ পুরস্কার রয়েছে, আর যদি ইজতিহাদ করে ফায়সালা দিতে গিয়ে ভুল করে, তাহলে তার জন্য একটি পুরস্কার রয়েছে”।
কাজেই আকীদার ক্ষেত্রে ইজতিহাদ করে যারা ভুল করেছেন, তাদেরকে গোমরাহ বলা যাবে না। বিশেষ করে যখন জানা যাবে যে, তার নিয়ত ভালো ছিল, সে দীনের প্রতি আনুগত্যশীল ছিল এবং সে সুন্নাহর অনুসরণকারী ছিল। অবশ্য তার মতামতকে গোমরাহী মতামত বলতে কোনো অসুবিধা নেই।