উত্তর: আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ কথার ঘোষণা দেওয়া ইসলামে প্রবেশের চাবিকাঠি স্বরূপ। এ সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতীত ইসলামে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়া’য রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে ইয়ামান দেশে পাঠানোর সময় আদেশ দিয়েছিলেন যে, তুমি সর্বপ্রথম এ কথার সাক্ষ্য দেওয়ার আহ্বান জানাবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।[1]
প্রথম বাক্যটি অর্থাৎ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর অর্থ হচ্ছে, মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই। সেই সাথে মুখে এ কালেমাটির উচ্চারণ করবে।
যার দাসত্ব ও উপাসনা করা হয় তার নাম ইলাহ। (لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللَّهُ) “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এ বাক্যটির দু’টি অংশ। একটি ‘না’ বাচক অংশ অপরটি ‘হ্যাঁ’ বাচক অংশ। “লা-ইলাহা” কথাটি ‘না’ বাচক এবং “ইল্লাল্লাহ” কথাটি ‘হ্যাঁ’ বাচক। প্রথমে সমস্ত বাতিল মা’বূদের জন্য কৃত সকল প্রকার ইবাদাতকে অস্বীকার করে দ্বিতীয় বাক্যে তা একমাত্র হক্ক মা‘বূদ আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা হয়েছে।
“লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ” এর অর্থ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নেই।’ যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আপনি কীভাবে বললেন আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নেই? অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বাস্তবে আল্লাহ ব্যতীত অসংখ্য মা’বূদের উপাসনা করা হচ্ছে। আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদাত করা হচ্ছে আল্লাহও তাদেরকে মা‘বূদ হিসাবে নাম রেখেছেন। আল্লাহ বলেন,
﴿فَمَآ أَغۡنَتۡ عَنۡهُمۡ ءَالِهَتُهُمُ ٱلَّتِي يَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مِن شَيۡءٖ لَّمَّا جَآءَ أَمۡرُ رَبِّكَۖ﴾ [هود: ١٠١]
“আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যেসব মা‘বূদকে ডাকত, আপনার রবর হুকুম যখন এসে পড়বে, তখন কেউ কোনো কাজে আসবেনা।” [সূরা হূদ, আয়াত: ১০১]
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿وَلَا تَجۡعَلۡ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ﴾ [الاسراء: ٣٩]
“আল্লাহর সাথে অন্য কোনো মা‘বূদ স্থির করবেন না”। (সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৩৯]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَۘ﴾ [القصص: ٨٨]
“আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে মা‘বূদ ডেকো না।” [সূরা আল-কাসাস, আয়াত: ৮৮]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿لَن نَّدۡعُوَاْ مِن دُونِهِۦٓ إِلَٰهٗاۖ﴾ [الكهف: ١٤]
“আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো মা‘বূদকে আমরা কখনই আহ্বান করব না।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ১৪]
এখন আমরা কীভাবে বলতে পারি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নেই। অথচ দেখা যাচ্ছে গাইরুল্লাহর জন্য উলুহিয়্যাত উল্লেখ করা হয়েছে। আর আমরাই বা কীভাবে গাইরুল্লাহর জন্য ইবাদাত সাব্যস্ত করতে পারি? অথচ রাসূলগণ তাদের সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বলেছেন,
﴿ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرُهُۥٓ﴾ [الاعراف: ٥٩]
“তোমরা এক আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোনো মা‘বূদ নেই।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৯]
উপরোক্ত সমস্যার উত্তর এ যে, “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বাক্যটির মধ্যে ইলাহা কথাটির পরে হাক্কুন শব্দ উহ্য রয়েছে। আসলে বাক্যটি এরকম হবে, (لا اله حق الا الله) (লা-ইলাহা হাক্কুন ইল্লাল্লাহ) হাক্কুন শব্দটি উহ্য মানলেই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই আমরা বলব আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদাত করা হয়, তারাও মা‘বূদ কিন্তু এগুলো বাতিল মা‘বূদ। ইবাদাত বা দাসত্ব পাওয়ার তাদের কোনো অধিকার নেই। ,
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدۡعُونَ مِن دُونِهِ ٱلۡبَٰطِلُ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ ٣٠﴾ [لقمان: ٣٠]
“এটিই প্রমাণিত যে, আল্লাহ-ই সত্য এবং আল্লাহ ব্যতীত তারা যাদের উপাসনা করে তারা সবাই মিথ্যা। আল্লাহ সর্বোচ্চ সুমহান।” [সূরা লুকমান, আয়াত: ৩০]
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿أَفَرَءَيۡتُمُ ٱللَّٰتَ وَٱلۡعُزَّىٰ ١٩ وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ ٢٠ أَلَكُمُ ٱلذَّكَرُ وَلَهُ ٱلۡأُنثَىٰ ٢١ تِلۡكَ إِذٗا قِسۡمَةٞ ضِيزَىٰٓ ٢٢ إِنۡ هِيَ إِلَّآ أَسۡمَآءٞ سَمَّيۡتُمُوهَآ أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلۡطَٰنٍۚ ٢٣﴾ [النجم: ١٩، ٢٣]
“তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওয্যা সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? পুত্র সন্তান কি তোমাদের জন্য এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর জন্যে? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন। এগুলো কতগুলো নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়, যা তোমরা নিজেরা রেখেছ এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষেরা রেখেছে। এর সমর্থনে আল্লাহ কোনো দলীল নাযিল করেন নি।” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ১৯-২৩]
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে ইউসুফ আলাইহিস সালামের কথা উল্লেখ করে বলেন,
﴿مَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ أَسۡمَآءٗ سَمَّيۡتُمُوهَآ أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلۡطَٰنٍۚ﴾ [يوسف: ٤٠]
“তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদাত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা নাম করণ করে নিয়েছো। আল্লাহ এদের পক্ষে কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০]
সুতরাং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থ আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। মা‘বূদগুলো সত্য মা‘বূদ নয়। বরং তা বাতিল উপাস্য।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ কথার সাক্ষ্য দেওয়ার অর্থ এই যে, অন্তরে বিশ্বাস এবং মুখে এ কথার স্বীকৃতি প্রদান করা যে, মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ সমস্ত জিন্ন ও মানুষের জন্য রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا ٱلَّذِي لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۖ فََٔامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِ ٱلنَّبِيِّ ٱلۡأُمِّيِّ ٱلَّذِي يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَكَلِمَٰتِهِۦ وَٱتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ ١٥٨﴾ [الاعراف: ١٥٨]
“হে মুহাম্মাদ! আপনি বলে দিন যে, হে মানবমণ্ডলী তোমাদের প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রাসূল, সমগ্র আসমান ও জমিনের রাজত তাঁর। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন কর আল্লাহর ওপর, তার প্রেরিত উম্মী নবীর ওপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর ওপর এবং তাঁর সমস্ত কালামের ওপর। তাঁর অনুসরণ কর, যাতে তোমরা সরল পথ পেতে পার।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৮]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿تَبَارَكَ ٱلَّذِي نَزَّلَ ٱلۡفُرۡقَانَ عَلَىٰ عَبۡدِهِۦ لِيَكُونَ لِلۡعَٰلَمِينَ نَذِيرًا ١﴾ [الفرقان: ١]
“পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফায়সালার গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন যাতে তিনি বিশ্ব জগতের জন্যে সতর্ককারী হতে পারেন।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ১]
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসাবে সাক্ষ্য দেওয়ার অর্থ হলো,
(১) তিনি যে বিষয়ের সংবাদ দিয়েছেন, তা বিশ্বাস করা,
(২) তাঁর আদেশ মান্য করা,
(৩) তিনি যে বিষয় নিষেধ করেছেন, তা থেকে দূরে থাকা
(৪) তাঁর নির্দেশিত শরী‘আত অনুযায়ী আল্লাহর ইবাদাত করা।
(৫) তাঁর শরী‘আতে নতুন কোনো বিদ‘আত সৃষ্টি না করা।
এ বিষয়ের সাক্ষ্য দেওয়ার অন্যতম দাবী হলো সৃষ্টি বা পরিচালনায় এবং প্রভুত্বে কিংবা ইবাদাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো অধিকার নেই; বরং তিনি আবদ বা আল্লাহর দাস ও বান্দা। মা‘বূদ নন। তিনি সত্য রাসূল। তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা যাবে না। তিনি নিজের জন্য কিংবা অপরের জন্য কল্যাণ-অকল্যাণের কোনো ক্ষমতা রাখেন না। মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণের একমাত্র মালিক আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُل لَّآ أَقُولُ لَكُمۡ عِندِي خَزَآئِنُ ٱللَّهِ وَلَآ أَعۡلَمُ ٱلۡغَيۡبَ وَلَآ أَقُولُ لَكُمۡ إِنِّي مَلَكٌۖ إِنۡ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَيَّۚ﴾ [الانعام: ٥٠]
“আপনি বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমনও বলি না যে, আমি ফিরিশতা। , যা আমার কাছে আসে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫০]
সুতরাং তিনি একজন আদেশপ্রাপ্ত বান্দা মাত্র। তাঁর প্রতি যা আদেশ করা হয় তিনি কেবল মাত্র তারই অনুসরণ করে থাকেন। আল্লাহ বলেন,
﴿قُلۡ إِنِّي لَآ أَمۡلِكُ لَكُمۡ ضَرّٗا وَلَا رَشَدٗا ٢١ قُلۡ إِنِّي لَن يُجِيرَنِي مِنَ ٱللَّهِ أَحَدٞ وَلَنۡ أَجِدَ مِن دُونِهِۦ مُلۡتَحَدًا ٢٢﴾ [الجن: ٢١، ٢٢]
“বলুন, আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই। বলুন, আল্লাহ তা‘আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি আশ্রয়স্থল পাবো না।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ২১-২২]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿قُل لَّآ أَمۡلِكُ لِنَفۡسِي نَفۡعٗا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۚ وَلَوۡ كُنتُ أَعۡلَمُ ٱلۡغَيۡبَ لَٱسۡتَكۡثَرۡتُ مِنَ ٱلۡخَيۡرِ وَمَا مَسَّنِيَ ٱلسُّوٓءُۚ إِنۡ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٞ وَبَشِيرٞ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ ١٨٨﴾ [الاعراف: ١٨٨]
“আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই। কিন্তু আল্লাহ যা চান। আর আমি যদি গায়েবের খবর জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম। ফলে আমার কখনো কোনো অমঙ্গল হতনা। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক এবং সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৮৮] এটাই হলো লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদূর রাসূলুল্লাহ এর প্রকৃত অর্থ।
হে প্রিয় পাঠক! এ অর্থের মাধ্যমেই আপনি জানতে পারলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা অন্য কোনো মাখলুক ইবাদাতের অধিকারী নয়। ইবাদাতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। বলেন,
﴿قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٢ لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ١٦٣﴾ [الانعام: ١٦٢، ١٦٣]
“আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কোরবানী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল মুসলিম।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬২-১৬৩]নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা‘আলা যে সম্মান দান করেছেন, তাতে অধিষ্ঠিত করাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য যথেষ্ট। তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। মর্যাদাবান হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। তাঁর ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সীমাহীন শান্তির ধারা বর্ষিত হোক।