উত্তর: প্রত্যেক কাফিরের ওপরই ইসলাম গ্রহণ করা ওয়াজিব। চাই সে কাফির ইয়াহূদী হোক বা খৃষ্টান হোক। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মজীদে বলেন,
﴿قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا ٱلَّذِي لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۖ فََٔامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِ ٱلنَّبِيِّ ٱلۡأُمِّيِّ ٱلَّذِي يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَكَلِمَٰتِهِۦ وَٱتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ ١٥٨﴾ [الاعراف: ١٥٨]
“(হে নবী!) আপনি বলে দিন, হে মানবমণ্ডলী! আমি আকাশ-জমিনের রাজত্বের মালিক আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের সবার নিকট প্রেরিত রাসূল। তিনি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই। তোমরা সবাই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁর প্রেরিত নিরক্ষর নবীর ওপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহ এবং তাঁর সমস্ত কালামের ওপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৮]
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান আনয়ন করা সমস্ত মানুষের ওপর ওয়াজিব। তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশেষ অনুগ্রহ করে অমুসলিমদেরকে মুসলিমদের আইন-কানুন মেনে মুসলিম দেশে বসবাস করার অনুমতি দিয়েছেন।
﴿قَٰتِلُواْ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلۡحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعۡطُواْ ٱلۡجِزۡيَةَ عَن يَدٖ وَهُمۡ صَٰغِرُونَ ٢٩﴾ [التوبة: ٢٩]
“তোমরা যুদ্ধ কর আহলে কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ এবং রোজ হাশরের উপর ঈমান রাখে না। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করে দিয়েছেন, তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া (নিরাপত্তা কর) প্রদান করে।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ২৯]
সহীহ মুসলিমে বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো যুদ্ধে কাউকে আমীর নির্বাচন করতেন, তখন তাকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিতেন। আরো উপদেশ দিতেন সাথীদের সাথে ভালো ব্যবহার করার। আর বলতেন, তাদের সামনে তিনটি বিষয় পেশ করবে, তিনটির যে কোনো একটি গ্রহণ করলে তাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে।[1] এ সমস্ত বিষয়সমূহের মধ্যে জিযিয়া গ্রহণ অন্যতম। অনেক আলিম ইয়াহূদী-খৃষ্টান ছাড়াও অন্যান্য কাফির-মুশরিকদের কাছ থেকে জিযিয়া গ্রহণ বৈধ বলেছেন।মোটকথা অমুসলিমদের ওপর আবশ্যক হলো, হয় তারা ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা ইসলামী শরী‘আতের কাছে নতি স্বীকার করে কর দিয়ে ইসলামী শাসনের অধীনে বসবাস করবে।