উত্তর: তার হজ বিশুদ্ধ। কেননা সে হজের কোনো রুকন পরিত্যাগ করে নি। কিন্তু সে তিনটি ওয়াজিব পরিত্যাগ করেছে- যদি ১২ তারিখের রাত মিনায় না কাটিয়ে থাকে।
প্রথম ওয়াজিব, ১২ তারিখের রাত মিনায় কাটানো।
দ্বিতীয় ওয়াজিব, ১২ তারিখে কঙ্কর নিক্ষেপ করা।
তৃতীয় ওয়াজিব, বিদায়ী তাওয়াফ।
তার ওপর আবশ্যক হচ্ছে প্রতিটি ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিবের বিনিময়ে একটি করে দম দেওয়া। অর্থাৎ মোট তিনটি দম প্রদান করে তা মক্কার ফকীরদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া। কেননা বিদ্বানদের মতে কেউ যদি হজের কোনো ওয়াজিব পরিত্যাগ করে, তবে তার বিনিময়ে দম প্রদান করে তা মক্কার ফকীরদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।
এ উপলক্ষে আমি হাজী সাহেবদের সতর্ক করতে চাই, প্রশ্নকারী যে রকম ভুল করেছে অধিকাংশ হাজী এরকমই বুঝে থাকে এবং অনুরূপ ভুল করে থাকে। আল্লাহর বাণী: “যে ব্যক্তি দু’দিন থেকে তাড়াহুড়া করে চলে যেতে চায়, তার কোনো গুনাহ নেই।” তারা মনে করে এখানে দু’দিন বলতে ঈদের দিন ও ১১তম দিনকে বুঝানো হয়েছে। তাই তারা ১১ তারিখে কঙ্কর মেরেই মিনা ত্যাগ করে। কিন্তু বিষয়টি এরূপ নয়। এটা একটা মারাত্মক ভুল। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِي يَوۡمَيۡنِ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِ﴾ [البقرة: ٢٠٣]
“তোমরা নির্দিষ্ট কতিপয় দিনে আল্লাহর যিকির কর। অতঃপর যে ব্যক্তি দু’দিন থাকার পর তাড়াহুড়া করে চলে যেতে চায়, তার কোনো গোনাহ্ নেই।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২০৩]
এ আয়াতে নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বলতে আইয়্যামে তাশরীকের দিনসমূহ (তথা জিলহজের ১১, ১২ ও ১৩) কে বুঝানো হয়েছে। আর আইয়ামে তাশরীকের প্রথম দিন হচ্ছে ১১ তারিখ। অতএব, উক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তি আইয়ামে তাশরীকের মধ্য থেকে প্রথম দু’দিনে তাড়াহুড়া করে চলে আসবে তার কোনো গোনাহ্ নেই। আর উক্ত দু’দিনের দ্বিতীয় দিন হচ্ছে ১২তম দিন।
সুতরাং প্রত্যেকের উচিৎ এ মাসআলাটি ভালোভাবে অনুধাবন করা এবং ভুল সংশোধন করে নেওয়া।