উত্তর: হজ বা উমরাকারী যে সমস্ত দো‘আ জানে এগুলোই তার জন্যে যথেষ্ট। কেননা সাধারণতঃ সে যা জানে তা সে বুঝে। আর বুঝে-শুনেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিৎ। কিন্তু যদি কোনো বই হাতে নিয়ে দো‘আ পড়ে বা কাউকে ভাড়া নিয়ে তার শিখিয়ে দেওয়া দো‘আ পড়ে- যার কিছুই সে বুঝে না, তবে তাতে কোনো উপকারই হবে না। তাছাড়া বাজারের এ বইগুলোতে তাওয়াফ-সা‘ঈর জন্য যে দো‘আ নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা বিদ‘আত এবং বিভ্রান্তি। কোনো মুসলিমের জন্য এগুলো পাঠ করা জায়েয নয়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে প্রত্যেক চক্করের জন্য আলাদা ও বিশেষ কোনো দো‘আ শিক্ষা দেন নি। সাহাবায়ে কেরাম থেকেও এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّمَا جُعِلَ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَرَمْيُ الْجِمَارِ لِإِقَامَةِ ذِكْرِ اللَّهِ».
“আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ ও জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ প্রভৃতির লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর যিকির প্রতিষ্ঠা করা।”[1]
তাই সকল মুমিনের ওপর ওয়াজিব হচ্ছে এ ধরনের বই-পুস্তক থেকে সতর্ক থাকা। আর নিজের দরকারের কথা আল্লাহর কাছে এমন ভাষায় পেশ করা যার অর্থ সে নিজে অনুধাবন করে। সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর যিকির করা। অর্থ বুঝে না এমন শব্দ ব্যবহার করার চাইতে এটাই তার জন্য উত্তম। অনেকে এমনও আছে যে অর্থ বুঝা তো দূরের কথা বইয়ের শব্দ বা বাক্যগুলোই ভালোভাবে পড়তে পারে না।