উত্তর: হজের সময় শুরু হয় শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে এবং শেষ হয় যিলহজের দশ তারিখে তথা ঈদের দিনে বা যিলহজের শেষ তারিখে। এটাই বিশুদ্ধ মত। কেননা আল্লাহ বলেন,
﴿ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞ﴾ [البقرة: ١٩٧]
“হজের মাসসমূহ সুনির্দিষ্ট জানা।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৭] এখানে বহুবচনأشهر শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তা হাকীকী অর্থে ব্যবহার হবে। অর্থাৎ এ তিনটি মাসে হজের কাজ চলবে। এ কথার অর্থ এটা নয় যে, এ তিন মাসের যে কোনো দিনে হজের কাজ করতে হবে। [অর্থাৎ শাওয়ালের প্রথমেই কেউ যদি হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধে এবং তাওয়াফ সা‘ঈ করে, তবে তা হজের জন্যই হলো। কিন্তু আরাফাত এবং তৎপরবর্তী কাজের জন্য তো সময় নির্ধারণ করাই আছে।] আর যিলহজের শেষ নাগাদ হজের সময় প্রলম্বিত একথার অর্থ হচ্ছে, হজের তাওয়াফ এবং সা‘ঈ যিলহজের শেষ পর্যন্ত বিলম্বিত করা জায়েয আছে। এর পর আর বিলম্বিত করা জায়েয নয়। কিন্তু যদি কোনো ওযর থাকে সে কথা ভিন্ন। যেমন হজের তাওয়াফ করার পূর্বে কোনো নারীর নিফাস শুরু হয়ে গেল। নিফাস অবস্থা শেষ হতে হতে যিলহজ মাস পার হয়ে গেল। তার এ ওযর গ্রহণযোগ্য নিফাস শেষ হলেই সে তাওয়াফ ও সা‘ঈ সম্পাদন করবে।
উমরার জন্য কোনো সময় নির্দিষ্ট নেই। বছরের যে কোনো সময় তা সম্পাদন করা যায়। কিন্তু রামাযানে উমরা করলে হজের সমান সাওয়াব লাভ করা যায়। হজের মাসসমূহেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাবতীয় উমরা আদায় করেন। হুদায়বিয়ার উমরা যিলকদ মাসে। কাযা উমরা আদায় করেছেন যিলকদ মাসে, জি‘রানার উমরাও ছিল যিলকদ মাসে। আর বিদায় হজের সাথের উমরাও ছিল যিলকদ মাসে। এতে বুঝা যায় হজের মাসসমূহে উমরা করার আলাদা বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত রয়েছে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরা আদায় করার জন্য এ মাসগুলোকেই নির্বাচন করেছেন।