উত্তর: সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকবে, অতঃপর উমরা আদায় করবে। কিন্তু যদি ইহরাম বাঁধার সময় শর্ত করে থাকে, তবে ইহরাম খুলে ফেলবে, তাকে কোনো জরিমানা দিতে হবে না। উমরা পূর্ণ করতে হবে না বিদায়ী তাওয়াফও করতে হবে না। ইহরামের সময় শর্ত করার নিয়ম হচ্ছে, এ দো‘আ পাঠ করবে: [আল্লাহুম্মা ইন হাবাসানী হাবেস ফা মাহাল্লী হাইসু হাবাসতানী] “হে আল্লাহ্! কোনো কারণে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই (হজ-উমরার কাজ সমাধা করতে না পরি), তবে যেখানে বাধাপ্রাপ্ত হব, সেটাই আমার হালাল হওয়ার স্থান।”[1]
কিন্তু যদি উক্ত শর্ত না করে আর উমরা আদায় কোনো ক্রমেই সম্ভব না হয়, তবে সে ইহরাম খুলে ফেলে হালাল হয়ে যাবে এবং ফিদইয়া হিসেবে একটি হাদঈ যবাই করে দিবে যদি সামর্থ থাকে। কেননা আল্লাহ বলেন,
﴿وَأَتِمُّواْ ٱلۡحَجَّ وَٱلۡعُمۡرَةَ لِلَّهِۚ فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۖ وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ مَحِلَّهُ﴾ [البقرة: ١٩٦]
“তোমরা আল্লাহর জন্য হজ-উমরা পূর্ণ কর। যদি বাধাগ্রস্ত হও তবে যা সহজপ্রাপ্য তাই কুরবানী কর। আর কুরবানীর পশু তার জায়গায় না পৌঁছা পর্যন্ত তোমরা মাথা মুণ্ডন করবে না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৬] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬ষ্ঠ হিজরী সনে উমরা পালন করতে গেলে হুদায়বিয়া নামক এলাকায় মক্কার কাফিরদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে সেখানেই তিনি হাদঈ যবেহ করেন এবং হালাল হয়ে যান।
>