উত্তর: প্রত্যেক মানুষের উচিৎ হচ্ছে, যে কোনো কাজ করার পূর্বে বিচার বিশ্লেষণ ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া। ধর্মীয় দিক থেকে নির্ভরযোগ্য না হলে তাকে কোনো কাজের দায়িত্ব দিবে না। লোকটি বিশ্বস্ত কিনা, যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তা বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা, তার নিকট সে ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান আছে কিনা প্রভৃতি যাচাই বাছাই করবে।
হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই আপনার পিতা বা মাতার পক্ষ থেকে হজ সম্পাদন করার জন্য এমন লোক নির্বাচন করবেন, যিনি জ্ঞান ও ধর্মীয় দিক থেকে বিশস্ত ও নির্ভরযোগ্য। কেননা অনেক মানুষ হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ। যথাযোগ্য নিয়মে হজ আদায় করে না। যদিও তারা নিজেদের ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত। কিন্তু তারা ধারণা করে এটুকুই তাদের ওপর ওয়াজিব। অথচ তারা অনেক ভুল করে। জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এধরনের মানুষের কাছে হজের দায়িত্ব প্রদান করা উচিৎ নয়।
আবার অনেক লোক এমন আছে, যারা হয়তো হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখে কিন্তু তারা আমানতদার নয়। ফলে হজের কার্যাদি আদায় করার ক্ষেত্রে কথা ও কাজে কোনো গুরুত্বারোপ করে না। শুধুমাত্র দায়সারা গোছের কাজ করে। এ ধরনের লোকের কাছে হজ পালনের আমানত অর্পন করা উচিৎ নয়। সুতরাং হজের দায়িত্ব প্রদান করার জন্য দীন ও আমানতদারীতে নির্ভর করা যায় এরকম লোক অনুসন্ধান করা জরুরী।
প্রশ্নে উল্লিখিত ব্যক্তি যে কয়জনের হজের দায়িত্ব নিয়েছে- হতে পারে সে অন্য লোকদের দ্বারা তাদের হজগুলো আদায় করে দিবে। কিন্তু এরূপ করাও কি তার জন্য জায়েয হবে? অর্থাৎ হজ বা উমরা আদায় করে দেওয়ার জন্য কয়েক জনের পক্ষ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর সরাসরি তা নিজে আদায় না করে অন্য লোককে দায়িত্ব দেওয়া কি জায়েয হবে?উত্তর: এটাও জায়েয বা বৈধ নয়। এটা অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ। কেননা এটা হজ-উমরা নিয়ে ব্যবসা করা। মানুষের হজ-উমরা আদায় করে দেওয়ার নাম করে তাদের নিকট থেকে পয়সা নেয়; অতঃপর কম মূল্যে অন্য লোককে নিয়োগ করে। এতে সে অন্যায়ভাবে কিছু সম্পদ কামাই করল। কেননা হতে পারে হজের দায়িত্ব প্রদানকারী এ তৃতীয় ব্যক্তির ওপর সন্তুষ্ট নয়। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করা উচিৎ। মানুষের অর্থ নিজের পকেটে ঢুকানোর আগে চিন্তা করা উচিৎ এটা কি ঠিক হলো না বেঠিক?[1]