মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব
শুক্রবার :
- শুক্রবারে যোহ্র ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে (?) ২ রাকআত; প্রথম রাকআতে আয়াতুল কুরসী ১ বার ও সূরা ফালাক্ব ২৫ বার এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ইখলাস ১ বার এবং সূরা ফালাক্ব ২০ বার পড়া।
- ফযীলত: মরার পূর্বে স্বপ্নে আল্লাহর ও বেহেশ্তে নিজের জায়গার দর্শন লাভ!
- এই দিনে মাগরেব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে ১২ রাকআত নামায।
- ফযীলত: বেহেশ্তে মহল লাভ, সমগ্র মুসলিম জাতির তরফ থেকে সদকাহ্ দেওয়ার সওয়াব লাভ এবং পাপ নাশ হবে।
- এই দিনে চাশতের সময় নির্দিষ্ট সূরার সাথে ৪ অথবা ১০ রাকআত নামায পড়া। (মু’জামুল বিদা’ ৩৪১পৃ:)
- ফযীলত: নবীর সুপারিশে বেহেশ্ত লাভ, মা-বাপেরও গুনাহ মাফ!
- মহানবী (ﷺ)-কে দেখার উদ্দেশ্যে অনেকে জুমআর রাতে ২ রাকআত নামায পড়ে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ২৫ বার, সালামের পর নবীর প্রতি দরুদ ১০০০ বার। (মু’জামুল বিদা’ ৩৪৩পৃ:)
শনিবার :
- শনিবারের যে কোন সময়ে ৪ রাকআত এক সালামে; প্রত্যেক রাকআতে ৩ বার সূরা কাফিরুন এবং নামায শেষে ১ বার আয়াতুল কুরসী।
- ফযীলত: ১ বছরের রোযা ও রাতের ইবাদতের এবং শহীদের সওয়াব লাভ, প্রত্যেক হ্রফের বদলে এক হজ্জ ও ওমরার সওয়াব লাভ, কিয়ামতে নবী ও শহীদানের সাথে আরশের ছায়া লাভ!!!
- শনিবার দিনগত রাতের ২০ রাকআত নামায; প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ৫০ বার, সুরা ফালাক্ব একবার এবং সূরা নাস একবার। তারপর নানান দুআ ১০০ বার।
- ফযীলত: পৃথিবীর সকল মানুষের সংখ্যার সমান (প্রায় ৬০০ কোটি) সওয়াব লাভ, কিয়ামতে নিরাপত্তা লাভ এবং নবীদের সাথে বেহেশ্ত প্রবেশ!!!
রবিবার :
- রবিবার যে কোন সময়ে ৪ রাকআত ১ সালামে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা বাক্বরারা শেষ ২ আয়াত পড়া।
- ফযীলত: নাসারাদের নর-নারীর সংখ্যার সমান নেকী লাভ, নবীর সওয়াব লাভ, হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ, প্রত্যেক রাকআতের বদলে ১০০০ নামাযের সওয়াব লাভ এবং প্রত্যেক হ্রফের বদলে বেহেশ্তে মিসকের শহর লাভ!!!
- রবিবার দিনগত রাত্রে যে কোন সময়ে ৪ রাকআত ১ সালামে, প্রথম রাকআতে সূরা ইখলাস ১০ বার, দ্বিতীয় রাকআতে ২০ বার, তৃতীয় রাকআতে ৩০ বার এবং চতুর্থ রাকআতে ৪০ বার পড়া। নামাযের পর নির্দিষ্ট অযীফা ৭৫ বার করে।
- ফযীলত: দোযখী হলেও বেহেশ্ত লাভ হবে! সমস্ত জাহেরী গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। প্রত্যেক আয়াতের বিনিময়ে হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ এবং আগামী সোমবারের ভিতরে মরলে শহীদ হবে।
সোমবার :
- সোমবার চাশতের সময় ২ রাকআত নামায, প্রত্যেক রাকআতে আয়াতুল কুরসী ১ বার, সূরা ইখলাস ১ বার, সূরা ফালাক্ব ১ বার এবং সূরা নাস ১ বার পড়া।
- ফযীলত: সমস্ত গুনাহ মাফ হবে।
- এই দিনে আরো ১২ রাকআত নামায।
- ফযীলত: কিয়ামতে এক হাজার বেহেশতী যেওর ও তাজ পরানো হবে, ১ লক্ষ ফিরিশ্তা এই নামাযীকে নিয়ে যাবে এবং প্রত্যেক ফিরিশ্তার অসংখ্য উপহার থাকবে!
- সোমবার দিবাগত রাত্রে ১২ রাকআত এবং প্রত্যেক রাকআতে সূরা নাসর ৫ বার করে পড়া।
- ফযীলত: বেহেশ্তে ৭ পৃথিবীর সমান বিরাট ঘর তৈরী হবে!
মঙ্গলবার :
- মঙ্গলবার দিনে চাশতের সময় অথবা সূর্য ঢলার সঙ্গে সঙ্গে ১০ রাকআত এবং প্রত্যেক রাকআতে আয়াতুল কুরসী ১ বার ও সূরা ইখলাস ৩ বার পড়া।
- ফযীলত: ৭০ দিন কোন লিখা হবে না! ৭০ বছরের গুনাহ মাফ। আর ঐ দিনে মরলে সে শহীদ হবে!
- মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে ২ রাকআত; প্রথম রাকআতে ১০ বার সূরা ফালাক্ব এবং দ্বিতীয় রাকআতে ১০ বার সূরা নাস পড়া।
- ফযীলত: ৭০ হাজার ফিরিশ্তা আসমান থেকে নাজেল হয়ে এই নামাযীর জন্য কিয়ামত পর্যন্ত সওয়াব লিখতে থাকবে !!!
বুধবার :
- বুধবার দিনে সকালে ১২ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে আয়াতুল কুরসী ১ বার, সূরা ইখলাস ৩ বার, সূরা ফালাক্ব ৩ বার এবং সূরা নাস ৩ বার পড়া।
- ফযীলত: সমস্ত গুনাহ মাফ, কবরের আযাব, সংকীর্ণতা ও অন্ধকার দূর হবে, নবীদের মত আমল নিয়ে কিয়ামতে উঠবে (?!) এবং কিয়ামতের কষ্ট দূর হবে।
- বুধবার মাগরেব ও এশার মাঝে ২ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে আয়াতুল কুরসী ৫ বার, সূরা ইখলাস ৫ বার, সূরা ফালাক্ব ৫ বার এবং সূরা নাস ৫ বার পড়া।
- ফযীলত: মা-বাপের নামে বখশালে মা-বাপের হ্ক আদায় হয়ে যাবে; যদিও দুনিয়াতে তারা তার উপর নারাজ ছিল (?!) সিদ্দীক ও শহীদগণের সওয়াব লাভ হবে!
বৃহ্স্পতিবার :
- বৃহ্স্পতিবার দিনে যোহ্র ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে (?) ২ রাকআত; প্রথম রাকআতে আয়াতুল কুরসী ১০০ বার এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ইখলাস ১০০ বার পড়া। সালামের পর দরুদ শরীফ ১০০ বার।
- ফযীলত: রজব, শা’বান ও রমযান মাসের রোযাদারদের মত, কা’বা শরীফের হাজীদের মত এবং মুমিনদের সংখ্যা অনুপাতে সওয়াব লাভ হয়!
- বৃহ্স্পতিবার মাগরেব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে ১২ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ১০ বার পড়া।
- ফযীলত: ১২ বছরের দিনের রোযার এবং রাতের ইবাদত করার সওয়াব লাভ হয়!