একাকী বা ইমাম সকলের জন্য নামাযে সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করা বৈধ এবং সকলের জন্য সিজদাহ করা সুন্নত। অবশ্য সির্রী নামাযে ইমামের জন্য সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদা না করাই উত্তম। (তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ১/২৭০পৃ:) কারণ, এতে মুক্তাদীদের মাঝে গোলমাল সৃষ্টি হয়। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩২৯, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৫/৩০০) মুক্তাদীর জন্য ইমামের ইক্তিদায় ঐ সিজদাহ করা জরুরী। যেমন, সিজদার আয়াত তিলাঅত করতে শুনলেও যদি ইমাম সিজদাহ না করেন, তাহলে মুক্তাদী সিজদাহ করতে পারে না।
প্রকাশ থাকে যে, একই সঙ্গে কয়েকটি সিজদার আয়াত পড়লে সবশেষে একটি সিজদাই যথেষ্ট। যেমন হিফয করার সময় সিজদার আয়াত বারবার পড়লেও সবশেষে একটি সিজদাহ করে নেওয়া যথেষ্ট।
সিজদার আয়াত পাঠ বা শ্রবণ করার পর সিজদাহ করার সুযোগ না হলে সামান্য ক্ষণ পরে সিজদাহ কাযা করে নেওয়া যায়। দেরী লম্বা হয়ে গেলে কাযা করা যাবে না। (ফিকহুস সুন্নাহ্ আরবী ১/১৯৮)
প্রকাশ থাকে যে, এই সিজদার পরহাত তুলে মুনাজাত করা বিদআত। (মু’জামুল বিদা’ ২৮০পৃ:)