মহানবী (ﷺ) শহর বা জনপদ ছেড়ে বের হয়ে গেলেই কসর শুরু করতেন। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি নবী (ﷺ)-এর সাথে (মক্কা যাওয়ার পথে) মদ্বীনায় যোহরের ৪ রাকআত এবং (মদ্বীনা থেকে ৬ মাইল দূরে) যুল-হুলাইফায় গিয়ে আসরের ২ রাকআত পড়তাম।’ (বুখারী ১০৮৯নং, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান)
বলা বাহুল্য, সফর করতে শহর বা গ্রাম ত্যাগ করার পূর্ব থেকেই নামায কসর বা জমা করা চলবে না।
নামাযের সময় আসার পরেও সফর করলে পথে কসর করা বৈধ। অনুরুপ সফরে নামাযের সময় হওয়ার পরেও বাসায় ফিরে এলে পূর্ণ নামায পড়তে হবে। (লিকাউবাবিল মাফতূহ্, ইবনে উষাইমীন ৭৯পৃ:, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫২৩)
সফরে বের হয়ে শহর ছেড়ে (শহরের বাইরে) বিমান-বন্দর, স্টেশন বা বাস-স্ট্যান্ডে কসর চলবে। সেখানে কসর করে নামায পড়ার পর যদি কোন কারণবশত: প্লেন বা গাড়ি না আসার ফলে বাড়ি ফিরতে হয়, তবুও ঐ কসর করা নামায আর ফিরিয়ে পড়তে হবে না। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫১৪)
সফরে বের হয়ে প্লেন বা গাড়ি যদিও মুসাফিরের গ্রাম বা শহরের উপর বা ভিতর দিয়ে যায়, তাহলেও তার ঐ বিমান-বন্দরে বা স্টেশনে বা বাস-স্ট্যান্ডে কসর করা চলবে। (ঐ ৪/৫৬৯)