মসজিদের বর্ণনায় মসজিদে যাওয়ার কিছু আদব আলোচিত হয়েছে। জামাআতের প্রাসঙ্গিকতায় এখানে আরো কিছু কথা উল্লেখ করতে বাধ্য হচ্ছি।
জামাআতে হাযির হওয়ার জন্য বাসা থেকে ওযূ করে বিনয়ের সাথে বের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ, বাসা থেকে ওযূ করে নামাযে যাওয়ার কথা একাধিক হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে।
এ সময়ে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লেবাস পরিধান করা কর্তব্য। এ বিষয়ে মহান আল্লাহর আদেশ রয়েছে। (কুরআন মাজীদ ৭/৩১)
সর্বশরীর থেকে সর্বপ্রকার দুর্গন্ধ দূর করে নেওয়া জরুরী। লেবাসের, মুখের, ঘামের, কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন তথা বিড়ি-সিগারেটের দুর্গন্ধ দূর করে নেওয়া আবশ্যিক। যাতে সে গন্ধে ফিরিশ্তা ও পাশের নামাযী কষ্ট না পান এবং ঐ গন্ধ-ওয়ালার প্রতি নামাযীদের মনে মনে ঘৃণার উদ্রেক না হয়।
চলার পথে দুইহাতের আঙ্গুলসমূহের মাঝে খাজাখাজি করা নিষিদ্ধ। কারণ, নামাযের জন্য চলাও নামায পড়ার মতই গুরুত্ব রাখে। (আবূদাঊদ, সুনান ৫৬২নং)
চলার সময় নামাযী যেন এদিক-ওদিক না তাকায়, হৈ-হাল্লা না করে, নামাযের কিছু অংশ ছুটে গেলেও যেন না দৌড়ে। বরং ভদ্রতা ও গম্ভীরতার সাথে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-সুস্থে শান্তভাবে জামাআতে শামিল হয়।
চলার পথে আল্লাহর যিক্র মনে রাখা কর্তব্য। (মসজিদে যাওয়ার আদব দ্রষ্টব্য)
উল্লেখ্য যে, মসজিদে প্রবেশ করার সময় (জুমআর খুতবার আযান ছাড়া অন্য) আযান হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আযানের উত্তর দিয়ে দরুদ-দুআ পড়ে তারপর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ অথবা অন্য সুন্নত পড়বে নামাযী।