নামায ৩ রাকআত বিশিষ্ট (মাগরেবের) হলে ৩ রাকআত পড়ে, নচেৎ ৪ রাকআত বিশিষ্ট হলে তা তৃতীয় রাকআতের মত পড়ে শেষ তাশাহহুদের জন্য বসে যেতেন। এই বৈঠকে তিনি তাঁর বাম পাছার উপর বসতেন। এতে তাঁর দু’টি পায়ের পাতা এক দিকে হয়ে যেত। (বুখারী ৮২৮, আবূদাঊদ, সুনান ৯৬৫নং, বায়হাকী) বাম পা-কে ডান পায়ের রলা ও ঊরুর নিচে রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯ নং, আহমাদ, মুসনাদ) আর ডান পায়ের পাতাকে খাড়া রাখতেন। (বুখারী ৮২৮নং) কখনো কখনো খাড়া না রেখে বিছিয়েও রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯, আহমাদ, মুসনাদ) পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে রাখতেন। তাঁর হাত দু’টি প্রথম বৈঠকের মতই থাকত। অবশ্য বামহাত দ্বারা বাম জানুর উপর ভরনা দিতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৯৮৯, সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১২০৫ নং)
সুতরাং পাছার উপর বসা কেবল ৩ বা ৪ রাকআত (অন্য কথায় দুই তাশাহহুদ) বিশিষ্ট নামাযে সুন্নত। পক্ষান্তরে এক তাশাহহুদ বিশিষ্ট ২ রাকআত নামাযে বাম পায়ের পাতার তলদেশ বিছিয়ে তার উপর বসা সুন্নত। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৫৬, ১৮১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১০০, মাজমূআতু রাসাইল ফিস স্বালাহ্ ১২৮পৃ:) কারণ পাছার উপর বসার কথাহাদীসে কেবল দুই তাশাহহুদ বিশিষ্ট নামাযের ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে। নচেৎ নামাযে বসার সাধারণ সুন্নত হল, বাম পায়ের পাতার উপরেই বসা। (নাসাঈ, সুনান ১১৫৬, ১১৫৭, ১১৫৮, ১২৬১, দারেমী, সুনান ১৩৩০ নং)