মহানবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে তার নামাযে দুআ করতে শুনলেন, লোকটি মহান আল্লাহর গৌরব বর্ণনা করল না, আর তাঁর নবীর উপর দরুদও পড়ল না। তিনি বললেন, “এ তো তাড়াতাড়ি করল।” অতঃপর তাকে ডেকে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, “যখন তোমাদের মধ্যে কেউনামায পড়বে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা বর্ণনার মাধ্যমে আরম্ভ করে। অতঃপর নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করে। তারপর পছন্দ বা ইচ্ছামত দুআ করে।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ১৪৮১ নং, নাসাঈ, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, মিশকাত ৯৩০ নং)
তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে নামাযে আল্লাহর প্রশংসা করল এবং নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করল। তিনি তার উদ্দেশ্যে বললেন, “ওহে নামাযী! এবার দুআ কর। কবুল হবে।” (ঐ)
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, একদা আমি নামায পড়ছিলাম। পাশে আবূ বকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) সহ্ নবী (ﷺ) বসেছিলেন। অতঃপর যখন আমি (তাশাহ্হুদে) বসলাম, তখন আল্লাহর প্রশংসা শুরু করলাম, অতঃপর নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করলাম, তারপর নিজের জন্য দুআ করলাম। এ শুনে নবী (ﷺ) বললেন, “চাও, তোমাকে দান করা হবে। চাও, তোমাকে দান করা হবে।” (তিরমিযী, সুনান ৫৯৮, মিশকাত ৯৩১ নং)
আর এ জন্যই তিনি বলেছেন, “ফরয নামাযের পশ্চাতে দুআ অধিকরুপে শোনা (কবুল করা) হয়।” (তিরমিযী, সুনান ৩৭৪৬, মিশকাত ৯৬৮নং) বলা বাহুল্য এটাই হল আল্লাহর সাথে প্রকৃত মুনাজাতের সময়। কারণ “নামাযী মাত্রই নামাযে আল্লাহর সাথে মুনাজাত করে।” (মালেক, মুঅত্তা, আহমাদ, মুসনাদ ২/৩৬, ৪/৩৪৪)