নবী মুবাশ্শির (ﷺ) এর রুকূ, রুকূর পর কওমাহ্, সিজদাহ এবং দুই সিজদার মাঝের বৈঠক প্রায় সমপরিমাণ দীর্ঘ হত। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৮৬৯ নং)
রুকূ ও সিজদাতে তিনি কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করতেন। তিনি বলতেন, “শোন! আমাকে নিষেধ করা হয়েছে যে, আমি যেন রুকূ বা সিজদাহ অবস্থায় কুরআন না পড়ি। সুতরাং রুকূতে তোমার প্রতিপালকের তা’যীম বর্ণনা কর। আর সিজদায় অধিকাধিক দুআ করার চেষ্টা কর। কারণ তা (আল্লাহর নিকট) গ্রহণ-যোগ্য।” (মুসলিম, মিশকাত ৮৭৩নং)
যেহেতু আল্লাহর কালাম (বাণী)। সবচেয়ে সম্মানিত বাণী। আর রুকূ ও সিজদার অবস্থা হল বান্দার পক্ষে হীনতা ও বিনয়ের অবস্থা। তাই আল্লাহর বাণীর প্রতি আদব রক্ষার্থে উক্ত উভয় অবস্থাতেই কুরআন পাঠ সঙ্গত নয়। বরং এর জন্য উপযুক্ত অবস্থা হল কিয়ামের অবস্থা। (মাদারিজুস সা-লিকীন ২/৩৮৫)
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ নামাযের একই রুকূতে কয়েক প্রকার যিক্র এক সঙ্গে পাঠ দূষণীয় নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/১৩৩, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৩৪পৃ:)