১,২,৩ বা ৪ রাকআত বিশিষ্ট যে কোনও নামাযের প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর অন্য একটি সূরা মিলানো চলে, প্রথম দু’ রাকআতে ১টি মিলিয়ে শেষ দু’ রাকআতে না মিলালেও চলে। আবার কোন রাকআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা পাঠ না করলেও যথেষ্ট হয়। পূর্বোক্ত মুআয (রাঃ) এর ব্যাপারে অভিযোগকারী যুবককে আল্লাহর রসূল (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি যখন নামায পড় তখন কিরুপ কর, হে ভাইপো?” বলল, ‘আমি সূরা ফাতিহা পড়ি এবং (তাশাহহুদের পর) আল্লাহর নিকট বেহেশ্ত চাই ও দোযখ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আর আমি আপনার ও মুআযের গুঞ্জন বুঝি না। নবী (ﷺ) বললেন, “আমি ও মুআয এরই ধারে-পাশে গুন্গুন্ করি।” (আবূদাঊদ, সুনান ৭৯৩ নং)
পূর্বে উল্লেখিত এক হাদীসে উল্লেখ হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা-বিহীন নামায অপরিণত ও অসম্পূর্ণ। (মুসলিম, আহমাদ, মুসনাদ, মিশকাত ৮২৩ নং) সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় যে, সূরা ফাতিহাবিশিষ্ট নামায পরিণত ও সম্পূর্ণ। আর অন্য সূরা পাঠ জরুরী নয়। (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ১/২৫৮)
হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক নামাযেই ক্বিরাআত আছে। সুতরাং আল্লাহর রসূল (ﷺ) যা আমাদেরকে শুনিয়েছেন, তা আমি তোমাদেরকে শুনালাম এবং যা চুপেচুপে পড়েছেন, তা চুপেচুপে পড়লাম।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘যদি আমি সূরা ফাতিহার পর অন্য কিছু না পড়ি?’ তিনি বললেন, ‘যদি অন্য কিছু পড় তাহলে উত্তম। না পড়লে সূরা ফাতিহাই যথেষ্ট।” (বুখারী ৭৭২, মুসলিম, সহীহ ৩৯৬ নং)