যোহরের (প্রথমকার) উভয় রাকআতে ৩০ আয়াত মত অথবা সূরা সাজদাহ পাঠ করার মত সময় কুরআন পাঠ করতেন। (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, মিশকাত ৮২৯ নং)
কখনো তিনি সূরা ত্বা-রিক্ব, বুরুজ, লাইল বা অনুরুপ কোন সূরা পাঠ করতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৮০৫, ৮০৬, তিরমিযী, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ) আবার কখনো কখনো পড়তেন সূরা ‘ইযাস সামা-উন শা ক্বা ত’ বা অনুরুপ কোন সূরা। (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ৫১১নং)
সাহাবাগণ (রাঃ) আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর দাড়ি হিলা দেখে তাঁর ক্বিরাআত পড়া বুঝতে পারতেন। (বুখারী ৭৬০, আবূদাঊদ, সুনান ৮০১ নং)
কখনো কখনো তিনি মুক্তাদীগণকে আয়াত (একটু শব্দ করে পড়ে) শুনিয়ে দিতেন। (বুখারী,মুসলিম, সহীহ ৮২৮)
কখনো কখনো সাহাবাগণ (রাঃ) তাঁর নিকট হতে যোহরের নামাযে সূরা আ’লা ও গাশিয়াহ্র সুর শুনতে পেতেন। (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ৫১২নং)
কখনো কখনো তিনি যোহরের ক্বিরাআত এত লম্বা করতেন যে, নামায শুরু হওয়ার পর কেউ কেউ বাকী’ [মহানবী (ﷺ) এর আমলে মদ্বীনার পূর্বে এবং বর্তমানে মসজিদে নববীর পূর্ব দিকে অনতি দূরে অবস্থিত খালি জায়গা। বর্তমানে কবরস্থান] গিয়ে পায়খানা ফিরে এসে নিজের বাড়িতে ওযু করে যখন মসজিদে আসত, তখনও দেখত মহানবী (ﷺ) প্রথম রাকআতেই আছেন। (মুসলিম, সহীহ ৪৫৪ নং, বুখারী জুযউল ক্বিরাআহ্)
এ ব্যাপারে সাহাবাগণের ধারণা এই ছিল যে, তিনি সকলকে প্রথম রাকআত পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এত লম্বা ক্বিরাআত পড়তেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৮০০ নং, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ)