নামাযে দাঁড়িয়ে নবী মুবাশ্শির (ﷺ) ‘আল্লা-হু আকবার’ বলে নামায শুরু করতেন। (এর পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ্’ বা অন্য কিছু বলতেন না।) নামায ভুলকারী সাহাবীকেও এই তকবীর পড়তে আদেশ দিয়েছেন। আর তাকে বলেছেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত কোন মানুষেরই নামায পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঠিক যথার্থরুপে ওযু করেছে। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলেছে।” (ত্বাবারানী, মু’জাম, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৮৬পৃ:)
তিনি আরো বলেছেন, “নামাযের চাবিকাঠি হল পবিত্রতা (গোসল-ওযু), (নামাযে প্রবেশ করে পার্থিব কর্ম ও কথাবার্তা ইত্যাদি)হারাম করার শব্দ হল তকবীর। আর (নামায শেষ করে সে সব)হালাল করার শব্দ হল সালাম।” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩০১নং)
এই তকবীরও নামাযে ফরয। ‘আল্লাহু আকবার’ ছাড়া অন্য শব্দে (যেমন আল্লাহ আজাল্ল্, আল্লাহু আ’যাম প্রভৃতি সমার্থবোধক) তকবীর বৈধ ও যথেষ্ট নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/২৬)
ইবনুল কাইয়েম (রহঃ) বলেন, ‘তাহ্রীমার সময় তাঁর অভ্যাস ছিল, ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দ বলা। অন্য কোন শব্দ নয়। আর তাঁর নিকট হতে কেউই এই শব্দ ছাড়া অন্য শব্দে তকবীর বর্ণনা করেন নি।’ (যাদুল মাআদ ১/২০১-২০২)
তাকবীরে তাহ্রীমা বলার সময় (একটু আগে, সাথে সাথে বা একটু পরে) মহানবী (ﷺ) তাঁর নিজহাত দু’টিকে কাঁধ বরাবর তুলতেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৭৯৩নং) আর কখনো কখনো কানের ঊর্ধ্বাংশ বরাবরও ‘রফ্য়ে ইয়াদাইন’ করতেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৭৯৫নং) হাত তোলার সময় তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো লম্বা (সোজা) হয়ে থাকত। (জড়সড় হয়ে থাকত না)। আর আঙ্গুলগুলোর মাঝে (খুব বেশী) ফাঁক করতেন না, আবার এক অপরের সাথে মিলিয়েও রাখতেন না। (আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ৪৫৯নং,হাকেম, মুস্তাদরাক)
প্রকাশ থাকে যে, ‘রফ্য়ে ইয়াদাইন’ করার সময় কানের লতি স্পর্শ করা বিধেয় নয়। যেমন এই সময় মাথা তুলে উপর দিকে তাকানোও অবিধেয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ২৩/৯৫) তদনুরুপহাত তোলার পর নিচে ঝুলিয়ে দিয়ে তারপর হাত বাঁধাও ভিত্তিহীন। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৪৩) যেমন তকবীরের পূর্বে নামায শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ্’ বলা বিদআত। (ঐ ১/১৩৩)