১। অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তি ক্বিবলার দিকে মুখ না করতে পারলে এবং তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার মত কেউনা থাকলে, সে যে মুখে নামায পড়বে সেই মুখেই নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। যেহেতু “আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতীত বোঝা বহ্নের ভার দেন না।” (কুরআন মাজীদ ২/২৮৬)
২। যুদ্ধ চলাকালীন হানাহানির সময় নামাযে ক্বিবলাহ্-মুখ হওয়া জরুরী নয়। শত্রুর গতিবিধি লক্ষ্য রেখে তাদের দিকে মুখ করেই নামায পড়তে হবে। (বুখারী, মুসলিম, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৫৮৮নং)
মহান আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা (শত্রুর) ভয় কর, তাহলে পথচারী অথবা আরোহী অবস্থায় (নামায পড়ে নাও)।” (কুরআন মাজীদ ২/২৩৯)
ইবনে উমার (রাঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘ভয় খুব বেশী হলে তোমরা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অথবা সওয়ার হওয়া অবস্থায় ক্বিবলার দিকে মুখ করে অথবা না করেই নামায পড়ে নাও।’ (বুখারী ৪৫৩৫ নং) আর মহানবী (ﷺ) বলেন, “শত্রুর সাথে যুদ্ধরত হলে (নামাযে) তকবীর ও মাথার ইশারাই যথেষ্ট।” (বায়হাকী ৩/২৫৫)
৩। সফরে উট, ঘোড়া বা গাড়ির উপর নফল বা সুন্নত নামায পড়ার সময়ও ক্বিবলাহ্-মুখ হওয়া জরুরী নয়। যেহেতু নবী (ﷺ) সফরে নিজের সওয়ারীর উপর যে মুখে উট চলত, সেই মুখেই নফল ও বিত্র নামায পড়তেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৩৪০ নং)
এ ব্যাপারে কুরআন মাজীদের এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, “পূর্ব ও পশ্চিম সব দিকই আল্লাহর। সুতরাং তুমি যে দিকেই মুখ ফেরাও, সে দিকই আল্লাহর।” (কুরআন মাজীদ ২/১১৫)
আর কখনো কখনো তিনি উটনীর উপর নফল পড়ার ইচ্ছা করলে উটনী সহ্ ক্বিবলাহ্-মুখ হয়ে তকবীর দিতেন। তারপর বাকী নামায নিজের সওয়ারীর পথ অভিমুখেই সম্পন্ন করতেন। (আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, প্রমুখ সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৭৫পৃ:) অবশ্য ফরয নামাযের সময় সওয়ারী থেকে নেমে ক্বিবলাহ্-মুখ হয়ে নামায পড়তেন। (বুখারী, আহমাদ, মুসনাদ, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৭৫পৃ:)