যারা কা’বার আশেপাশে নামায পড়ে এবং কা’বা তাদের দৃষ্টির সামনে থাকে, তাদের জন্য হুবহু কা’বার প্রতি মুখ ফেরানো জরুরী। পক্ষান্তরে যারা কা’বা দেখতে পায় না তাদের জন্য হুবহু কা’বার প্রতি মুখ ফেরানো জরুরী নয়। যেহেতু মহানবী (ﷺ) বলেন, “পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝামাঝি হল ক্বিবলার দিক।” (তিরমিযী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, মিশকাত ৭১৫নং)
তিনি বলেন, “প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় তোমরা ক্বিবলাহ্কে সামনে বা পিছন করে বসো না; বরং পূর্ব অথবা পশ্চিম দিককে সামনে বা পিছন করে বস।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৩৩৪নং)
উক্ত হাদীস দু’টি হতে এ কথা বুঝা যায় যে, মদ্বীনাবাসীদের জন্য ক্বিবলাহ্ হল পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে (দক্ষিণ) দিকে। যেহেতু মদ্বীনা শরীফ থেকে কা’বার অবস্থান হল দক্ষিণে। সুতরাং যদি মদ্বীনায় কেউ দক্ষিণ মুখে নামায পড়ে তবে তার ক্বিবলাহ্-মুখে নামায পড়া হবে। যদিও হুবহু কা’বা থেকে তার অভিমুখ একটু ডানে-বামে সরেও হয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ২/২৬৭)
অতএব পৃথিবীর মানচিত্রে যারা কা’বার যে দিকে অবস্থান করে তার ঠিক বিপরীত দিকে হবে তাদের ক্বিবলাহ্। ভারত-বাংলাদেশ পড়ছে কা’বার পূর্বে, তাই এ দেশের লোকেদেরকে পশ্চিম দিকে মুখ করে নামায পড়তে হয়। বলা বাহুল্য, মাহাত্ম হল ক্বিবলার; পশ্চিম দিকের কোন মাহাত্ম নয়।