সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ ইসতিনজা আবূ মালিক কামাল বিন আস-সাইয়্যিদ সালিম ১ টি
বায়ু নির্গত হলে ইসতিনজা করতে হবে না এবং ওযূর পূর্বে ইসতিনজা আবশ্যক নয়

যার বায়ু নির্গত হবে অথবা ঘুম থেকে জাগ্রত হবে, তার উপর ইসতিনজা আবশ্যক নয়। ইবনে কুদামা বলেন: এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে বলে আমরা জানি না। আবূ আবদুল্লাহ বলেন: আল্লাহ্‌র কিতাবে এবং তাঁর রাসূলের সুন্নায় বায়ু নির্গত হলে ইসতিনজা করার বিধান নেই। এ ক্ষেত্রে শুধু ওযূ আবশ্যক।

যায়েদ ইবনে আসলামা থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহ্‌র নিম্নোক্ত বাণীর ব্যাপারে বলেন:

﴿إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ﴾

যখন তোমরা সালাতে দ-ায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ধৌত কর। (মায়েদা-৬)

এখানে এর অর্থ হলো: যখন তোমরা ঘুম থেকে জাগ্রত হবে (তখন তোমরা মুখমণ্ডল ধৌত করবে)। ধৌত করা ব্যতীত অন্য কিছুর আদেশ এখানে দেয়া হয় নি। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয় যে, তা (ইসতিনজা) ওয়াজিব নয়। কেননা ওয়াজিব সাব্যাস্ত হবে শরীয়াত কর্তৃক। এখানে ইসতিনজার ব্যাপারে কোন দলীল বর্ণিত হয় নি। এমন কি অর্থগতভাবেও কোন দলীল পাওয়া যায় না। কেননা নাপাকী দূর করার জন্য ইসতিনজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। অথচ এ ক্ষেত্রে নাপাকীর কোন অবস্থা পাওয়া যায় না।[1]

যে সব কারণে ওযূ আবশ্যক যেসব কারণে ইসতিনজা আবশ্যক নয়। এটা সুন্নাতও নয় মুস্তাহাবও নয়, যেমনটি অনেক মানুষ ধারণা করে থাকেন। বরং এটা একক ইবাদত। ইসতিনজা করার উদ্দেশ্য হলো: স্থান নাপাকমুক্ত করা। এ ব্যাপারে কেউ বর্ণনা করেন নি যে, রাসূল (ﷺ) যখনই ওযূ করতেন তখনই ইসতিনজা করতেন। আর তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশও দেন নি।

[1] ইবনে কুদামাহ প্রণীত আল-মুগনী ১/২০৬।