আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত:
»أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لعن زوارات القبور«
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারতকারীদের ওপর লা‘নত করেছেন”।[1]
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: “যদি নারীকে যিয়ারত করার সুযোগ দেওয়া হয়, সে অস্থিরতা, বিলাপ ও মাতম শুরু করবে, কারণ তার মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, অধিক অস্থিরতা ও কম ধৈর্য। দ্বিতীয়ত তার এসব কর্ম মৃত ব্যক্তির জন্য কষ্টের কারণ। তৃতীয়ত তার চেহারা ও আওয়াজ দ্বারা পুরুষদের ফিতনা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। অপর এক হাদীসে এসেছে:
»فإنكن تفتن الحي وتؤذين الميت«
“কারণ তোমরা জীবিতদের ফিতনায় ফেল এবং মৃতদের কষ্ট দাও”।
অতএব নারীদের কবর যিয়ারত ফেতনার কারণ, যা তাদের ও পুরুষদের মাঝে কিছু হারাম বিষয়কে জন্ম দেয়। এতে যিয়ারত করার হিকমতও সুনিশ্চিত নয়, কারণ যিয়ারতের এমন কোনো সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় যা এসব অপরাধ জন্ম দিবে না। আবার এক যিয়ারতকে অপর যিয়ারত থেকে পৃথক করাও সম্ভব নয় যে, একটি জায়েয বলব। শরী‘আতের একটি নীতি হচ্ছে যদি কোনো বিধানের হিকমত গোপন হয় অথবা সচরাচর না হয়, তাহলে তার সম্ভাব্য হিকমতের সাথে হুকুম সম্পৃক্ত হয়। অতএব, হারাম কর্মের পথ বন্ধ করার স্বার্থে যিয়ারত নিষিদ্ধ করাই শ্রেয়। যেমন, গোপন সৌন্দর্যের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হারাম। কারণ, সেটা ফিতনার কারণ। অনুরূপ অপরিচিত নারীর সাথে একান্ত মিলন ও তার দিকে দৃষ্টি ইত্যাদি হারাম। নারীর যিয়ারতে এমন কিছু নেই যা এসব ফ্যাসাদ মোকাবেলায় সক্ষম। কারণ, যিয়ারতে মৃত ব্যক্তির জন্য দো‘আ ব্যতীত কিছু নেই যা ঘরে বসেই সম্ভব”।[2] সমাপ্ত।
[2] মাজমুউল ফতোয়া: (২৪/৩৫৫, ৩৫৬)