সন্দেহ নেই, ইসলামের শত্রু বরং মানব জাতির শত্রু কাফির, মুনাফিক ও যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, ইসলাম কর্তৃক প্রদত্ত নারীর ইজ্জত, সম্মান ও নিরাপত্তা তাদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। কারণ এসব কাফির ও মুনাফিকরা চায় নারীরা দুর্বল ঈমান ও প্রবৃত্তির অনুসারীদের শিকার করা বস্তু ও ধ্বংসের হাতিয়ার হোক। আর তাদের সমাজের নারীদের থেকে তারা নিজেরা প্রবৃত্তি পূর্ণ করে নিয়েছে সন্দেহ নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُواْ مَيۡلًا عَظِيمٗا﴾ [النساء: ٢٧]
“আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে, তোমরা প্রবলভাবে (সত্য থেকে) বিচ্যুত হও”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৭]
বস্তুত যেসব মুসলিমদের অন্তরে রোগ ও ব্যাধি রয়েছে, তারা চায় নারীরা তাদের প্রবৃত্তি পূরণ ও শয়তানি কর্ম-কাণ্ডে সস্তাপণ্য হোক। তাদের সামনে উন্মুক্ত পণ্য হয়ে থাক, যেন তার সৌন্দর্য দেখে তারা মুগ্ধ হয় অথবা তার থেকে আরো ঘৃণিত উদ্দেশ্য হাসিল করতে সক্ষম হয়। এ জন্য তারা প্রলুব্ধ করে যেন কাজের জন্য নারী ঘর থেকে বের হয় ও তাদের পাশা-পাশি কাজ করে অথবা নার্স সেজে পুরুষদের সেবা দেয় অথবা বিমান বালা হয় অথবা সহশিক্ষায় ছাত্রী কিংবা শিক্ষিকা হয়। অথবা সিনেমায় অভিনেত্রী ও গায়িকা হয় অথবা বিভিন্ন মিডিয়ার বিজ্ঞাপনে মডেল হয়। উন্মুক্ত ঘোরাফেরা এবং কণ্ঠ ও সৌন্দর্য প্রদর্শন করে ফেতনার জন্ম দেয়। ম্যাগাজিনগুলো অধিক প্রচার ও বাজার হাসিল করার উদ্দেশ্যে উলঙ্গ-আবেদনময়ী নারীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। কতক অসাধু ব্যবসায়ী তাদের পণ্য প্রচারের জন্য এসব ছবিকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে, তাদের উৎপাদিত পণ্য ও শো-রোমসমূহে এসব ছবি তারা সাঁটিয়ে দেয়। এ জাতীয় পদক্ষেপ ও কর্মকাণ্ডের কারণে অধিকাংশ নারী তাদের ঘরের প্রকৃত দায়িত্ব ত্যাগ করেছে, যে কারণে তাদের স্বামীরা ঘর গুছানো ও সন্তান লালন-পালন করার জন্য বাধ্য হয়ে বাহির থেকে খাদ্দামাহ ও সেবিকা ভাড়া করছে, যা অনেক ফিতনা ও অনিষ্টের জন্ম দিচ্ছে দিন দিন।