‘‘তিনি এক সমুদ্র থেকে অপর সমুদ্র পর্যন্ত, ঐ নদী থেকে দুনিয়ার প্রান্ত পর্যন্ত কর্তৃত্ব করবেন। তাঁর সম্মুখে মরুনিবাসীরা নত হবে, তাঁর দুশমনেরা ধুলা চাটবে। তর্শীশ ও দ্বীপগুলোর বাদশাহরা নৈবেদ্য আনবেন। সবা ও সবা দেশের বাদশাহরা (Kings of Sheba and Seba) উপহার দেবেন। হ্যাঁ, সমস্ত বাদশাহ তাঁর কাছে মাথা নত করবেন। সমস্ত জাতি তাঁর গোলাম হবে। কেননা তিনি আর্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও অসহায়কে উদ্ধার করবেন। তিনি দীনহীন ও দরিদ্রর প্রতি রহম করবেন, তিনি দরিদ্রদের প্রাণ নিস্তার করবেন। তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ন থেকে তাদের প্রান মুক্ত করবেন, তাঁর দৃষ্টিতে তাদের রক্ত বহুমূল্য হবে। আর তারা জীবিত থাকবে ও তাঁকে সাবা দেশের সোনা দান করা যাবে, লোকে তাঁর জন্য নিরন্তর মুনাজাত করবে, সমস্ত দিন তাঁর শুকরিয়া করবে (তার জন্য নিয়মিত দুআ করা হবে এবং প্রতিদিন তিনি প্রশংসিত হবেন: prayer also shall be made for him continually; and daily shall he be praised)।’’ (গীতসংহিতা/ জবুর ৭২/ ৮-১৫, মো-১৩)
এ কথাও বাহ্যত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বিষয়ে বলা হয়েছে। তিনি নিজে জীবিত থাকতেই লোহিত সাগর থেকে পারস্য সাগর ও আরব সাগর পর্যন্ত, মধ্যপ্রাচ্যের সর্বদক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত তিনি নিজে কর্তৃত্ব করেন। এরপর তাঁর উম্মাত সমুদ্র থেকে সমুদ্র পর্যন্ত ও পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত রাজত্ব লাভ করেন। একমাত্র তাঁর সামনেই মরুনিবাসীরা নত হয় এবং বিভিন্ন রাজ্যের রাজারা বশ্যতা স্বীকার করে। তিনিই দরিদ্র ও অসহায়দের রক্ষার জন্য সর্বজনীন আইন প্রদান করেন ও কল্যাণমুখি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। কেবলমাত্র ইসলাম ধর্মেই নিয়মিত ও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর উপর সালাত-সালাম পাঠের ব্যবস্থা রয়েছে। সর্বোপরি তিনি ‘প্রশংসিত’: মুহাম্মাদ (ﷺ)।