এরপর সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা মাথায়, কোনো অপরাধ ছাড়া, শুধু ঈশ্বরের নির্দেশ মত ঈশ্বরের অভিষিক্ত বাদশাহ যেহু আহাবের বংশধরদের হত্যা করেন।
‘‘সামেরিয়াতে আহাবের সত্তরজন বংশধর ছিল। যেহূ চিঠি লিখে সামেরিয়াতে যিষ্রিয়েলের শাসনকর্তাদের কাছে, বৃদ্ধ নেতাদের কাছে এবং আহাবের বংশধরদের রক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনাদের মালিকের বংশধরেরা আপনাদের কাছে আছে এবং রথ, ঘোড়া, দেয়াল-ঘেরা শহর আর অস্ত্রশস্ত্রও আছে। কাজেই এই চিঠি পাওয়া মাত্র আপনাদের মালিকের সব চেয়ে ভাল ও যোগ্য বংশধরকে বেছে নিয়ে আহাবের সিংহাসনে বসান, তারপর মালিকের বংশের জন্য যুদ্ধ করুন।’
কিন্তু তারা ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, ‘দু’জন বাদশাহ যখন যেহূর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলেন না তখন আমরা কি করে পারব?’ কাজেই রাজবাড়ীর পরিচালক, শহরের শাসনকর্তা, বৃদ্ধ নেতারা এবং আহাবের বংশধরদের রক্ষকেরা যেহূকে এই কথা বলে পাঠালেন, ‘আমরা আপনার গোলাম। আপনি যা বলবেন আমরা তা-ই করব। আমরা কাউকেই বাদশাহ করব না; আপনি যা ভাল মনে করেন তা-ই করুন।’ তখন যেহূ তাদের কাছে এই বলে দ্বিতীয় চিঠি পাঠালেন, ‘আপনারা যদি আমার পক্ষে থাকেন এবং আমার হুকুম পালন করতে চান তবে আপনাদের মালিকের বংশধরদের মাথাগুলো কেটে নিয়ে আগামীকাল এই সময়ে যিষ্রিয়েলে আমার কাছে চলে আসুন।’
আহাবের সেই সত্তরজন বংশধর তখন শহরের প্রধান লোকদের কাছে ছিল। তাঁরা তাদের দেখাশোনা করতেন। যেহূর চিঠিটা পৌঁছাবার পর সেই লোকেরা সেই সত্তর জনের সবাইকে ধরে হত্যা করলেন। তারপর টুকরিতে করে মাথাগুলো যিষ্রিয়েলে যেহূর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।’’ (২ বাদশাহনামা ১০/১-৭)