ঈশ্বরের পক্ষ থেকে রাজপদে অভিষিক্ত হয়েই ঈশ্বরের দেওয়া হত্যাযজ্ঞের দায়িত্ব পালন শুরু করলেন যেহু। ‘‘তারপর যিহোশাফটের ছেলে, অর্থাৎ নিম্শির নাতি যেহু যোরামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন।’’ (২ বাদশাহনামা ৯/১৪)
তিনি যুদ্ধের সংবাদ প্রদানের জন্য দেখা করার ছলে তার মালিক বাদশাহ যোরামের কাছে গমন করে তাকে হত্যা করলেন: ‘‘যেহুকে দেখিবামাত্র যোরাম কহিলেন, যেহু, মঙ্গল তো? তিনি উত্তর করিলেন, যে পর্যন্ত তোমার মাতা ঈষেবলের এত ব্যভিচার ও মায়াবিত্ব থাকে, সে পর্যন্ত মঙ্গল কোথায়? (What peace, so long as the whoredoms of thy mother Jezebel and her witchcrafts are so many?)[1] এই কথা শুনে যোরাম ঘুরে পালাবার সময় অহসিয়কে ডেকে বললেন, ‘অহসিয়, এ বেঈমানী।’ তখন যেহূ সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের ধনুকে টান দিয়ে যোরামের দুই কাঁধের মাঝখানে তীর ছুড়লেন। তীর গিয়ে তার হৃদপিন্ড বিঁধল এবং তিনি রথের মধ্যে পড়ে গেলেন। তখন যেহূ তাঁর সংগের সেনাপতি বিদকরকে বললেন, ‘ওকে তুলে নিয়ে যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের জমিতে ফেলে দাও।...’’ (২ বাদশাহনামা ৯/২২-২৬)