৯. ৭. ৪. ৩. অয় শহরের গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ

ঈশ্বরের সরাসরি নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে ইউসার নেতৃত্বে আরেকটা নির্মম গণহত্যা ঘটল অয় (Ai) নগরে: ‘‘পরে মাবুদ ইউসাকে বললেন, ‘তুমি ভয় কোরো না এবং নিরাশ হোয়ো না। তোমার সমস্ত সৈন্যদল নিয়ে তুমি অয় শহরটা আবার আক্রমণ করতে যাও। অয় শহরের বাদশাহ, তার লোকজন, তার শহর এবং দেশটা আমি তোমার হাতে তুলে দিয়েছি। জেরিকো শহর এবং তার বাদশাহ্র প্রতি তুমি যা করেছিলে অয় শহর ও তার বাদশাহর প্রতিও তা-ই করবে। তবে সেখানকার লুটের জিনিসপত্র ও পশুর পাল তোমরা নিজেদের জন্য নিতে পারবে।...  তোমরা শহরটা দখল করে নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেবে। মাবুদ যা হুকুম দিয়েছেন তোমরা তা-ই করবে। তোমাদের উপর এই আমার হুকুম। .... ইউসা এবং সমস্ত বনি-ইসরাইলরা যখন দেখল যে, তাদের লুকিয়ে থাকা সৈন্যরা শহরটা দখল করে নিয়েছে এবং শহর থেকে ধোঁয়া উঠছে তখন তারা অয় শহরের লোকদের আক্রমণ করল। লুকিয়ে থাকা সৈন্যরাও অয়ের লোকদের আক্রমণ করবার জন্য শহর থেকে বের হয়ে আসল। তাতে অয়ের লোকেরা দু’টা ইসরাইলীয় দলের মাঝে আটকা পড়ে গেল।

বনি-ইসরাইলরা তাদের সবাইকে হত্যা করল, কাউকে বাঁচিয়ে রাখল না যেতেও দিল না। তবে অয় শহরের বাদশাহকে তারা জীবন্ত অবস্থায় ধরে ইউসার কাছে নিয়ে গেল। যে মাঠে, অর্থাৎ যে মরুভূমিতে অয় শহরের লোকেরা বনি-ইসরাইলদের তাড়া করে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে অয়ের লোকদের সবাইকে হত্যা করবার পর সমস্ত ইসরাইলীয় অয় শহরে ফিরে আসল এবং শহরের মধ্যে যারা ছিল তারা তাদেরকেও হত্যা করল। সেই দিন শহরের সমস্ত লোক, অর্থাৎ বারো হাজার স্ত্রী-পুরুষ মারা পড়ল। অয় শহরে যারা ছিল তারা সবাই শেষ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ইউসা তলোয়ার-সুদ্ধ হাতখানা বাড়িয়ে রাখলেন। মাবুদ ইউসাকে যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই মতই বনি-ইসরাইলরা সেই শহরের পশুপাল এবং লুট করা জিনিস নিজেদের জন্য নিয়ে গেল। এভাবে ইউসা অয় শহরটা পুড়িয়ে দিয়ে সেটাকে চিরকালের জন্য একটা ধ্বংস সত্মূপ করে রাখলেন; আজও সেটা একটা পোড়ো জায়গা হয়ে আছে। তিনি অয় শহরের বাদশাহকে হত্যা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছে টাংগিয়ে রাখলেন। সন্ধ্যাবেলায় তিনি তাঁর লাশটা গাছ থেকে নামিয়ে শহরের সদর দরজায় ঢুকবার পথে ছুড়ে ফেলবার হুকুম দিলেন। লোকেরা তাঁর উপর পাথর দিয়ে একটা বড় সত্মূপ করে রাখল। সেটা আজও রয়েছে।’’ (ইউসা/ যিহোশূয় ৮/১-২৯)