৯. ৭. ৩. সকল মানুষ ও প্রাণি হত্যা ও অগ্নিসংযোগ
উপরে আমরা বাইবেলীয় পবিত্র যুদ্ধ বা জিহাদের একটা চিত্র দেখলাম। ঈশ্বরের সরাসারি নির্দেশে এবং ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ ভাববাদী মোশির তত্ত্বাবধানে যে জিহাদ সংঘটিত হয়েছে। বাইবেলীয় যুদ্ধ বা জিহাদের মূলনীতিগুলো সবই এর মধ্যে আমরা দেখতে পাই। এছাড়াও আরো অনেক জিহাদের চিত্র বাইবেলে বিদ্যমান। বাইবেলীয় জিহাদ বা যুদ্ধগুলোকে আমরা কয়েক ভাগে ভাগ করতে পারি:
(ক) সর্বাত্মক গণহত্যা, যোদ্ধা-অযোদ্ধা, যুদ্ধবন্দি ও নিরস্ত্র নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ বা সকল মানুষ হত্যা, সকল প্রাণি হত্যা, নগরসমূহে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস করা। শুধু সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি মূল্যবান দ্রব্য লুট করা।
(খ) নারী, শিশু ও বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকল অযোদ্ধা, যুদ্ধবন্দি ও নিরস্ত্র মানুষ হত্যা। পশু হত্যা না করে লুট করা। স্বভাবতই সোনা-রূপা লুটের মধ্যে থাকবে।
(গ) কুমারী নারী বাদে সকল নারী, পুরুষ ও শিশু হত্যা করা।
(ঘ) শুধু পুরুষদের হত্যা করা এবং নারী, শিশু ও পশুপাল লুট করা।
প্রথম প্রকারের কিছু বাইবেলীয় জিহাদের বিবরণ এখানে উল্লেখ করছি:
৯. ৭. ৩. ১. রাজা অরাদ, তার প্রজারা ও সকল গ্রাম নিঃশেষে ধ্বংস
বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে মোশির নেতৃত্বে বনি-ইসরাইল অরাদের বাদশাহ এবং তার দেশের সকল মানুষকে এভাবে হত্যা করেন। ‘‘অরাদের কেনানীয় বাদশাহ (king Arad the Canaanite) নেগেভে বাস করতেন। বনি-ইসরাইলরা অথারীমের পথ ধরে আসছে শুনে তিনি তাদের উপর হামলা করে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গেলেন। তখন বনি-ইসরাইলরা মাবুদের কাছে মানত করে বলল, ‘অরাদের এই লোকদের তুমি যদি আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দাও, তবে আমরা তাদের গ্রাম ও শহরগুলো একেবারে ধ্বংস করে ফেলব।’ মাবদু তাদের এই বিশেষ অনুরোধ শুনলেন এবং সেই কেনানীয়দের তাদের হাতের মুঠোয় এনে দিলেন। বনি-ইসরাইলরা তাদের এবং তাদের গ্রাম ও শহরগুলো একেবারে ধ্বংস করে ফেলল।’’ (শুমারী ২১/১-৩)