৯. ৭. ২. ২. গণহত্যার কারণ কসবীর ব্যভিচার!

বাইবেল বলছে: কতিপয় মাদিয়ানীয় নারীর কারণে কতিপয় বনি-ইসারইল পুরুষ বিপথগামী হয়েছিল, এজন্য সকল মাদিয়ানীয়কে হত্যা করতেই হবে!

আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে, মোশির নেতৃত্বে যাত্রাপথে বনি-ইসরাইলরা মোয়াবীয়-মাদিয়ানীয় স্ত্রীলোকদের সাথে জেনা শুরু করে এবং তাদের দেবতাদের পূজা করতে শুরু করে। এতে মহামারি দিয়ে ঈশ্বর বনি-ইসরাইলের ২৪ হাজার লোককে হত্যা করেন। এসময়ে মহাযাজক পীনহস একজন ইসরাইলীয় পুরুষ ও তার মাদিয়ানীয় স্ত্রীকে বর্শা দিয়ে হত্যা করেন। এতে মহামারি দূর হয়।  পীনহস কর্তৃক নিহত ইসরাইলীয় লোকটার নাম ছিল সিম্রি তার পিতার নাম সালূ (Zimri, the son of Salu) এবং নিহত মাদিয়ানীয় মহিলার নাম ছিল কস্বী, তার পিতার নাম সূর (Cozbi, the daughter of Zur)। (শুমারী/ গণনাপুস্তক ২৫/১-১৪)

পীনহসের এ হত্যায় ঈশ্বর অত্যন্ত খুশি হন এবং দুটো প্রতিক্রিয়া জানান:

(১) পীনহস ও তাঁর বংশধরকে চিরস্থায়ীভাবে তাঁর মহাযাজক পদ প্রদান করেন (শুমারী/ গণনা ২৫/১০-১৩)

(২) মাদিয়ানীয় মহিলার কারণে চিরস্থায়ীভাবে মাদিয়ানীয়দের আঘাত ও হত্যার নির্দেশ দেন: ‘‘মাদিয়ানীয়দের তোমরা শত্রু হিসেবে দেখবে এবং তাদের হত্যা করবে, কারণ পিয়োরের দেবতার পূজা এবং কসবীর ব্যাপার নিয়ে কৌশল খাটিয়ে তোমাদের ভুল পথে নিয়ে গিয়ে তারা তোমাদের শত্রু হয়েছে।’’ (শুমারী ২৫/১৭-১৮)

এখানে বাইবেলীয় লজিক বা যুক্তি খুবই বিস্ময়কর। নারী-পুরুষের বৈধ বা অবৈধ সম্পর্কে উভয়েরই দায়ভার থাকে। আর এরূপ দায় সংশ্লিষ্ট মানুষদের থাকে। অথচ এখানে এ অবৈধ সম্পর্কের মহিলাকেই দায়ী করা হল! অথচ যে কোনো বিচারে এরূপ ক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষের দায়ভার বেশি থাকে!! এরপরও সংশ্লিষ্ট মহিলা বা অন্য কোনো মানুষ যদি শতভাগ দায়ী হয় তবে তাকে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে এ মহিলার বা সংশ্লিষ্ট আরো কিছু মানুষের অপরাধের কারণে সে যুগের এবং আগত সকল যুগের সকল মাদিয়ানীয় মানুষদের হত্যার ঢালাও নির্দেশ দেওয়া হল!