শামুয়েল যখন শৌলকে অভিষিক্ত করেন তখন ঈশ্বরের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানান যে, অভিষেকের মাধ্যমে তালুত অন্য মানুষ হয়ে যাবেন, তালুত নিজেই নবী হবেন, তালুত নিজের সিদ্ধান্ত মতই কাজ করবেন এবং ঈশ্বর সর্বদা তালুতের সাথেই থাকবেন: ‘‘তখন সদাপ্রভুর আত্মা সবলে তোমার উপর আসিবেন, তাহাতে তুমিও তাহাদের সহিত ভাবোক্তি (নুবুওয়তি) প্রচার করিবে (thou shalt prophesy with them), এবং অন্য প্রকার মনুষ্য হইয়া উঠিবে। এই সকল চিহ্ন তোমার প্রতি ঘটিলে পর তোমার হস্ত যাহা করিতে পায় তাহা করিও, কেননা ঈশ্বর তোমার সহবর্তী (thou do as occasion serve thee; for God is with thee)।’’ (১ শামুয়েল ১০/৬-৭)
এখানে ঈশ্বরের নির্দেশ ও প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ঈশ্বরের নির্দেশ, তালুতের মন যা করতে বলে তাই করবেন; কারণ ঈশ্বরের আত্মাই তাকে দিক নির্দেশনা দেবেন। আর ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি যে, তিনি তালুতের সহবর্তী থাকবেন। ঈশ্বরের আত্মা বা পাক-রূহ প্রাপ্ত তালুত ঈশ্বরের গণহত্যার আদেশ পালনের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি অবাধ্যতার জন্য তা করেননি। ঈশ্বরের নির্দেশ পালনের লক্ষ্যই তা করেছিলেন। আর ঈশ্বরের নির্দেশও ছিল তার হস্ত যা পারে তাই করবে। কিন্তু এরপরও ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেলেন! মাত্র একটা মানুষ ও কয়েকটা প্রাণি হত্যা করতে বিলম্ব হওয়ায় ঈশ্বর এমন ক্রোধান্বিত হলেন যে, তিনি চিরতরে তালুতকে পরিত্যাগ করলেন!