৯. ৩. ২. ৭. ফেরেশতাদের মাধ্যমে গণহত্যার ব্যবস্থা

যুদ্ধ বিষয়ক নির্দেশ ও যুদ্ধ বাস্তবায়নে বাইবেলীয় আদর্শ প্রসঙ্গে আমরা দেখব যে, ভূমধ্যসাগর থেকে ফুরাত নদী পর্যন্ত বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর নির্বিশেষে এ অঞ্চলের সকল মানুষ এবং সকল প্রাণি হত্যার নির্দেশ দিয়েছে বাইবেল। আর এ নির্দেশ বাস্তবায়নে কয়েক মিলিয়ন মানুষ ও প্রাণি হত্যা করেন বাইবেল অনুসারীরা। ঈশ্বর বনি-ইসরাইলদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এ সকল জাতিকে যুদ্ধে উস্কানি দিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত করতে, পরাজিত যুদ্ধবন্দি ও নিরস্ত্র মানুষগুলোকে হত্যা করতে এবং তাদের সাথে কোনোরূপ সন্ধি না করতে। উপরন্তু ঈশ্বর নিজেই এ সকল জাতির মানুষদের অন্তর কঠিন করে দিয়েছেন, যেন তারা বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করে ও নিহত হয়। এত কিছুতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। উপরন্তু নিজের পক্ষ থেকে ফেরেশতা পাঠিয়ে এ সকল জাতির পরাজয় ও হত্যা নিশ্চিত করেছেন:

‘‘আমি তোমাদের শত্রুদের শত্রু হব এবং যারা তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে আমি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আমোরীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, কেনানী, হিববীয় ও যিবূষীয়রা যে দেশে বাস করে আমার ফেরেশতা তোমাদের আগে আগে থেকে সেই দেশে তোমাদের নিয়ে যাবে। আমি তাদের সকলকেই ধ্বংস করে ফেলব।... তোমরা যে সব জাতির কাছে যাবে তাদের মনে আমার সম্বন্ধে একটা ভয়ের ভাব আমি আগেই জাগিয়ে দেব এবং তাদের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করব।’’ (হিজরত ২৩/২২-৩৩)