বাইবেল বলছে, নোহের মহাপস্নাবন বিশ্বব্যাপী ছিল। (আদিপুস্তক/ পয়দায়েশ ৭/১৭-১৯)। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বৃহৎ ও ব্যাপক আঞ্চলিক বন্যার প্রমাণ পাওয়া যায়, বিশ্বব্যাপী বন্যার কোনো প্রমাণ নেই।

বাইবেলের বর্ণনায় আদম (আ.) থেকে নূহ (আ.) ৮ বা ৯টা প্রজন্ম। এ সময়ে পৃথিবীতে কত মানুষের জন্ম হয়েছিল? কয়েক হাজার? এ কয়েক হাজার মানুষের পাপাচারিতার কারণে ঈশ্বর পুরো পৃথিবীর সকল পশু, পাখি, কীট-পতঙ্গ ও গাছপালা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। (আদিপুস্তক ৬/৫-৭) ঠিক বাড়ির মধ্যে দুষ্ট ইঁদুরগুলোকে ধ্বংস করতে পুরো বাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া!

বাইবেল বলছে: ‘‘তারপর থেকে চল্লিশ দিন ধরে দুনিয়াতে বন্যার পানি বেড়েই চলল। দুনিয়ার উপরে পানি কেবল বেড়েই চলল; ফলে যেখানে যত বড় বড় পাহাড় ছিল সব ডুবে গেল। সমস্ত পাহাড়-পর্বত ডুবিয়ে পানি আরও পনেরো হাত উপরে উঠে গেল। (আদিপুস্তক/ পয়দায়েশ ৭/১৭-২০)

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়া এভারেস্ট ২৯ হাজার ফুট। এর উপরে আরো ১৫ হাত বা প্রায় ২২ ফুট। অর্থাৎ পুরো পৃথিবীর উপরে ২৯ হাজার ২২ ফুট উচু পানি। ৪০ দিনের মধ্যে এ পরিমাণ পানি জমতে কি পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন? মিনিটে ৬ ইঞ্চি, ঘণ্টায় ৩৬০ ইঞ্চি, প্রতিদিন ৮৬৪০ ইঞ্চি গভীর ও একটানা বৃষ্টি? মহাসাগরগুলো সহ পুরো পৃথিবীর উপরে প্রায় ৫ মাইল গভীর পানি? এত পানি গেল কোথায়?