‘‘স্ত্রীলোকের নিয়মিত মাসিকের রক্তের দরুন নাপাক অবস্থা সাত দিন ধরে চলবে। ... সেই রক্তস্রাব থেমে যাবার পরেও তাকে গুণে সাতটা দিন কাটাতে হবে এবং ঐ দিনেই সে পাক-সাফ হবে। আট দিনের দিন তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর নিয়ে মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে ইমামের কাছে যেতে হবে। ইমাম সেই দু’টার একটা দিয়ে গুনাহের কোরবানী এবং অন্যটা দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী দেবে। এভাবে ইমাম মাবুদের সামনে তার রক্ত স্রাবের নাপাকী ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে। (লেবীয় ১৫/১৯-৩০)। কি. মো.-১৩: ‘‘তার রক্তস্রাবের নাপাকীতার জন্য ইমাম মাবুদের সম্মুখে তার জন্য কাফ্ফারা দেবে।’’
এ সকল মহাপাপের কাফফারায় প্রাণি জবাই করে পুড়িয়ে ফেলা বা পোড়ানো-কোরবানি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা লক্ষণীয়। কিন্তু বাইবেলের অন্যত্র বলা হয়েছে যে, এরূপ কর্ম নরহত্যার মতই: ‘‘যে একটা গরু কোরবানী করছে সে যেন মানুষ খুন করছে, যে একটা ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী করছে সে যেন কুকুরের ঘাড় ভেংগে দিচ্ছে, যে শস্য কোরবানী করছে সে যেন শূকরের রক্ত দিচ্ছে, আর যে আমার উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাচ্ছে সে যেন মূর্তি পূজা করছে।’’ (ইশাইয়া/ যিশাইয় ৬৬/৩)