বাইবেলে ব্যভিচার নিন্দনীয় ও মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। তবে বাইবেল তার অনুসারীদের জন্য ব্যভিচার ও ধর্ষণের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছে।
বিদেশী বা শত্রুদের কুমারী নারীকে ধর্ষণ করা বৈধ। অন্য দেশের বা শত্রু দেশের মহিলাকে ধর্ষণ করার পর যখন সে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবে তখন তাকে ফেরত পাঠালেই হবে। (দ্বিতীয় বিবরণ ২১/১০-১৪) শত্রু পক্ষের বা শত্রুদেশের সুন্দরী কুমারীদেরকেই এভাবে ধর্ষণ করা বৈধ। অবশিষ্ট সকল মহিলা এবং শিশু-কিশোরকে হত্যা করতে হবে। (গণনাপুস্তক ৩১/৭-১৮) উল্লেখ্য যে, আপনি বিদেশিনী বা শত্রু নারীকে ধর্ষণ করতে পারেন। তবে তৌরাতের বিধান অনুসারে বিদেশিনীকে বিবাহ করা আপনার জন্য নিষিদ্ধ (নেহেমিয় ১৩/২৩ ও ৩০)।
এছাড়া বাইবেল ধর্ষণের জন্য ধর্ষককে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করেছে। অন্যতম সুবিধা ‘অবাগদত্তা কুমারী’ মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারলেই মাত্র আধা কেজি রূপা মোহরানার বিনিময়ে তাকে আজীবনের জন্য স্ত্রী হিসেবে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ধর্ষিতার ইচ্ছার কোনোই মূল্য নেই। তাকে ধর্ষণকারীকে বিয়ে করতেই হবে। তবে মেয়েটির পিতা যদি একান্তই অনিচ্ছা করে তবে ধর্ষণকারীকে এ কুমারী মেয়েকে উপভোগের জন্য মাত্র আধা কেজি রূপা দিলেই চলবে। ঈশ্বর বলছেন: ‘‘কারও সংগে বিয়ের সম্বন্ধ হয় নি এমন কোন সতী মেয়েকে (কেরি: অবাগদত্তা কুমারীকে) যদি কেউ ভুলিয়ে এনে তার সংগে জেনা করে তবে সেই লোকটাকে তার বিয়ের মহরানা দিতে হবে এবং মেয়েটা তার স্ত্রী হবে। যদি মেয়েটির পিতা কিছুতেই তার কাছে মেয়ে দিতে রাজী না হয় তা হলেও তাকে এই বিয়ের মহরানা দিতে হবে।’’ (যাত্রাপুস্তক/ হিজরত ২২/১৬)
ধর্ষককে দেওয়া এ সুবিধাটা এত গুরুত্বপূর্ণ যে, তৌরাতের মধ্যে ঈশ্বর এ বিধানটা দ্বিতীয় বার উল্লেখ করেছেন: ‘‘বিয়ে ঠিক হয় নি এমন কোনো সতী মেয়েকে (কেরি: অবাগদত্তা কুমারী কন্যাকে) পেয়ে যদি কেউ জোর করে তার সংগে সহবাস করে আর যদি তারা ধরা পড়ে তবে লোকটিকে মেয়ের বাবাকে আধা কেজি রূপা দিতে হবে। মেয়েটিকে নষ্ট করেছে বলে তাকে তার বিয়ে করতে হবে। সে জীবনে কখনও তাকে ছেড়ে দিতে পারবে না।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ২২/২৮-২৯)
‘নাস্তিক প্রজনক’ (The Atheist Maker) প্রবন্ধে গ্যারি ডেভানি বলেন:
“Behold, according to the ‘Good Book’s’ direction, rape a virgin in public that you want to marry, pay the fine, or buy her as you would a slave and she is yours. The woman has no say in the matter. The ‘Good Book’ and Its ‘great’ God certainly prove to be righteous models - don't they?”
‘‘লক্ষ্য করুন, ‘মঙ্গল পুস্তকের’ নিদের্শনা অনুসারে, একজন কুমারীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করুন, জরিমানা প্রদান করুন, অর্থাৎ আপনি যেমনভাবে ক্রীতদাসী ক্রয় করেন সেভাবেই তাকে কিনে নিন, সে আপনার হয়ে গেল। এ বিষয়ে মেয়েটার কোনো মত প্রকাশের অধিকার নেই। ‘মঙ্গলপুস্তক’ ও তার মহান ‘ঈশ্বর’ উভয়েই নিশ্চিতভাবেই ন্যয়নিষ্ঠতার অনুপম আদর্শ বলে প্রমাণিত হলেন? তাই নয় কি?’’[1]