যদি বাসর রাত্রিতে কোনো নারীর কুমারিত্ব ‘কাপড় দ্বারা’ প্রমাণিত না হয় তবে বাইবেলীয় ঈশ্বরের নির্দেশ, উক্ত নারীকে তার পিতার বাড়ির দরজার সামনে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে: ‘‘কোন লোক যদি বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে শোবার পরে তাকে অপছন্দ করে এবং তার নিন্দা ও বদনাম করে বলে, ‘আমি স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছিলাম বটে, কিন্তু সে যে সতী মেয়ে তার মধ্যে আমি এই প্রমাণ পেলাম না,’ তবে সেই মেয়ের মা-বাবা গ্রাম বা শহরের সদর দরজায় বৃদ্ধ নেতাদের কাছে তার সতীত্বের প্রামাণ নিয়ে যাবে এবং তার পিতা বলবে, ‘আমি এই লোকের সংগে আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু সে তাকে অপছন্দ করে, আর এখন সে তার নিন্দা করে বলছে যে, সে তাকে সতী অবস্থায় পায় নি, কিন্তু এই দেখুন তার সতীত্বের প্রমাণ।’ এই বলে তারা বৃদ্ধ নেতাদের সামনে তার ব্যবহার করা কাপড় মেলে ধরবে। তখন বৃদ্ধ নেতারা তার স্বামীকে শাস্তি দেবে। ... কিন্তু কথাটা যদি সত্যি হয় এবং মেয়েটির সতীত্বের কোন প্রমাণ পাওয়া না যায়, তবে মেয়েটিকে তার বাবার বাড়ীর দরজার কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেই জায়গার পুরুষ লোকেরা সেখানে পাথর ছুঁড়ে তাকে হত্যা করবে।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ, ২২/১৩-২১)
স্ত্রীর জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তির ব্যবস্থা করলেও বাসর রাতে স্বামীর ব্যভিচার বা কৌমার্য বিনষ্টের কথা স্ত্রী জানতে পারলে স্বামীর জন্য বাইবেল কোনো শাস্তির ব্যবস্থা করেনি। আর এভাবে সতীত্ব প্রমাণের পদ্ধতিটা কতটুকু যৌক্তিক ও মানবিক?
গ্যারি ডেভানি লেখেছেন: “If your young daughter proved not to be a virgin, would you have her murdered?” ‘‘আপনার যুবতী মেয়েটা যদি কুমারী নয় বলে প্রমাণিত হয় তবে সেজন্য কি আপনি তাকে হত্যা করাবেন?’’[1]