৭. ১. ২৪. অস্বাভাবিক-অযৌক্তিক নির্দেশনা / ৭. ১. ২৪. ১. আত্মীয়স্বজন ও ধনী প্রতিবেশীদের দাওয়াত না করা

৭. ১. ২৪. অস্বাভাবিক-অযৌক্তিক নির্দেশনা

ইঞ্জিলগুলোর বিবরণ অনুসারে যীশু এমন কিছু বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন যা স্বাভাবিক বিচারে অযৌক্তিক। গ্রামগঞ্জের ভণ্ড ধর্মগুরুদের মুখেই যা মানায়, যীশুর মহান ব্যক্তিত্বের সাথে যা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এখানে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করছি:

৭. ১. ২৪. ১. আত্মীয়স্বজন ও ধনী প্রতিবেশীদের দাওয়াত না করা

যীশু বলেন: ‘‘যখন আপনি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করবেন বা ভোজ দেবেন তখন আপনার বন্ধুদের বা ভাইদের কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের বা ধনী প্রতিবেশীদের দাওয়াত করবেন না। তা করলে হয়ত তাঁরাও এর বদলে আপনাকে দাওয়াত করবেন আর এভাবে আপনার দাওয়াত শোধ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যখন ভোজ দেবেন তখন গরীব, নুলা, খোঁড়া এবং অন্ধদের ডাকবেন। তাতে আপনি আল্লাহর দোয়া পাবেন, কারণ তারা আপনার সেই দাওয়াতের শোধ দিতে পারবে না। যখন মৃত্যু থেকে ধার্মিক লোকদের জীবিত করা হবে তখন আপনি এর শোধ পাবেন।’’ (লূক ১৪/১২-১৪, মো.-০৬)

গরীব ও অসহায়দের দাওয়াত করে খাওয়ান খুবই ভাল কাজ। তবে ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন ও ধনী প্রতিবেশীদের দাওয়াত দিতে নিষেধ করা বিস্ময়কর। ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের খাওয়ানোও কি ভাল কাজ নয়? কেউ যদি মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য ধনী প্রতিবেশী বা আত্মীয়দেরকে খাওয়ান তাতে কি পুরস্কার পাবেন না? তারা প্রতিদান দিলেই কি আল্লাহর পুরস্কার নষ্ট হয়ে যাবে? আল্লাহর পুরস্কার কি এতই সীমাবদ্ধ? যীশু যদি বলতেন: আপনার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সাথে অবশ্যই দরিদ্র ও অসহায়দের দাওয়াত দেবেন...। অথবা অন্য কোনোভাবে এ কথাটা কি আরো ভালভাবে বলা যেত না?