৭. ১. ২৩. ২. মূসা (আ.) মানুষদের অভিযুক্ত করেন?

ঈসা মাসীহ বলেন: ‘‘মনে করবেন না যে, পিতার কাছে আমি আপনাদের দোষী করব; কিন্তু যে মূসার উপরে আপনারা আশা করে আছেন সেই মূসাই আপনাদের দোষী করছেন।’’ (ইউহোন্না/ যোহন ৫/৪৫: মো.-০৬)

বাইবেল বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ কথাটা মূসার নামে ভিত্তিহীন তথ্য। পুরাতন নিয়মের কোথাও নেই যে, মূসা (আ.) কাউকে আল্লাহর কাছে অভিযুক্ত করবেন।

এ জাতীয় কিছু বক্তব্য আমরা ইতোপূর্বে চতুর্থ অধ্যায়ে ভুলভ্রান্তি প্রসঙ্গে এবং পঞ্চম অধ্যায়ে বিকৃতি প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

(১)        দাউদের রুটি খাওয়ার বর্ণনা। চতুর্থ অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে, পুরাতন নিয়মের সাথে যীশুর বক্তব্য তুলনা করলে ৪টা ভুল ধরা পড়ে। (১ শমূয়েল ২১/১-৯; ২২/৯-২৩; মথি ১২/৩-৪; মার্ক ২/২৫-২৬; লূক ৬/৩-৪)

(২) যীশুর পূর্বে কেউ স্বর্গে উঠেননি বলে দাবি করা (যোহন ৩/১৩)। আমরা চতুর্থ অধ্যায়ে দেখেছি যে, যীশুর পূর্বেই হনোক ও এলিয় স্বর্গে উঠেছেন (আদিপুস্তক ৫/২৩-২৪; ২ রাজাবলি ২/১-১১)।

(৩) যীশুর প্রতি বিশ্বাসীর অন্তরে জীবন্ত জলের নদী প্রবাহিত হওয়ার কথা পুরাতন নিয়মের মধ্যে বিদ্যমান বলে দাবি করা (যোহন ৭/৩৮)। ৫ম অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে, এ কথাটা পুরাতন নিয়মের কোথাও নেই।

(৪) যাজকদের জন্য ধর্মধামে (বায়তুল মোকাদ্দসে) শনিবার লঙ্ঘনের অনুমোদন তৌরাতের মধ্যে আছে বলে দাবি করা (মথি ১২/৫)। ৫ম অধ্যায়ে আমরা দেখেছি দাবিটা ভিত্তিহীন।

(৫) যীশুর এক শিষ্য বিনাশ-সন্তানের বিনাশের কথা পাক কিতাব বা পুরাতন নিয়মে বিদ্যমান বলে দাবি করা (যোহন ১৭/১২)। ৫ম অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে, এ দাবি ভিত্তিহীন।