বাইবেলের বর্ণনায় ঈশ্বর শলোমনকে বলেন: ‘‘তোমার পিতা দাউদের মত করে যদি তুমি আমার সব নিয়ম ও হুকুম পালন কর এবং আমার পথে চল তবে আমি তোমাকে অনেক আয়ূু দেব।’’ (১ বাদশাহনামা ৩/১৪, মো.-০৬)
এখানে ঈশ্বর দাউদের কোন বিধান পালনের কথা বলেছেন তা সুস্পষ্ট নয়। তবে আমরা দেখেছি যে, বহুবিবাহ ও বিবাহ-বহির্ভূত ব্যভিচার দাউদের বৈশিষ্ট্য ছিল। শলোমন এদিক থেকে পিতা দাউদকে অতিক্রম করেন। শলোমনের স্ত্রীদের সংখ্যা ছিল এক হাজার: ‘‘সাত শত রমণী রাজকুমারী (seven hundred wives, princesses,) তাঁহার পত্নী, ও তিন শত তাঁহার উপপত্নী (concubines) ছিল।’’ (১ রাজাবলি ১১/৩)
নতুন নিয়মে একাধিক বিবাহ অবৈধ বলা হলেও পুরাতন নিয়মে একাধিক বিবাহ বৈধ। পূর্ববর্তী নবীরা সকলেই অনেক বিবাহ করেছেন। তবে শলোমনের জন্য এক হাজার স্ত্রী গ্রহণ ঈশ্বরের দুটো বিধান অনুসারে নিষিদ্ধ ছিল:
(১) যে সকল জাতির সাথে আত্মীয়তা করতে ঈশ্বর নিষেধ করেছিলেন তিনি সে সকল জাতির নারীদেরকে বিবাহ করেন। ‘‘আর তাদের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ স্থাপন করবে না; তুমি তার পুত্রকে তোমার কন্যা দেবে না ও তোমার পুত্রের জন্য তার কন্যা গ্রহণ করবে না।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ৭/৩, মো.-১৩)
(২) শাসকদের জন্য বহুবিবাহ নিষেধ। তিনি এক হাজার স্ত্রী গ্রহণ করেন। ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যারা শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন তাদের জন্য অনেক স্ত্রী গ্রহণ করা নিষিদ্ধ: ‘‘আর সে (রাজা) অনেক স্ত্রী গ্রহণ করবে না, পাছে তার অন্তর বিপথগামী হয়।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ১৭/১৭, মো.-১৩)