যাকোবের জ্যেষ্ঠ পুত্র রূবেন। আমরা দেখেছি যে, যাকোবের দ্বাদশ সন্তানের প্রত্যেকের নামেই একটা ‘ধর্মগ্রন্থ’ (Testament) ইহুদিদের মধ্যে প্রচলিত ছিল, যেগুলো বর্তমানে বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত নয়। রূবেনের নিয়মপুস্তক (Testament of Reuben) নামের একটা পুস্তক বাইবেলের অতিরিক্ত পুস্তকগুলোর তালিকায় আমরা দেখেছি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ইসরাইল বা যাকোবের সন্তানরাও নবী বা ভাববাদী ছিলেন। বাইবেল বলছে যে, ঈশ্বরের প্রথমপুত্র (ইবনুল্লাহ) যাকোবের প্রথম পুত্র (ঈশ্বরের জ্যেষ্ঠ পৌত্র) রূবেন তাঁর পিতার স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন। ‘‘সেই দেশে ইসরাইলের অবস্থিতি- কালে রূবেন (Reuben) গিয়ে তাঁর পিতার উপপত্নী বিল্হার (Bilhah) সঙ্গে শয়ন করলো এবং ইসরাইল তা শুনতে পেলেন।’’ (পয়দায়েশ ৩৫/২২, মো.-১৩)
এখানে ঈশ্বরের বড় ছেলের বড় ছেলে রূবেন নিজের পিতার স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলেন! বাহ্যত এটা ছিল ধর্ষণ। তিনি নিজ পিতার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলেন। আর ঈশ্বরের বড় ছেলে বা ‘ইবনুল্লাহ যাকোব’ তাঁর এ পুত্রকে বা তাঁর এ স্ত্রীকে ব্যভিচারের জন্য কোনো শাস্তি দিলেন না। পরবর্তী অনুচ্ছেদে যাকোবের ৪র্থ পুত্র যিহূদার বিষয়ে আমরা দেখব যে, যখন তাঁকে তাঁর পুত্রবধুর ব্যভিচারের কথা বলা হল, তখন তিনি বলেন, তাকে পুড়িয়ে মেরে ফেল। এ থেকে জানা যায় যে, এ সময়ের নবীদের শরীয়তে ব্যভিচারের শাস্তি ছিল এটাই। কিন্তু ‘ইবনুল্লাহ যাকোব’ ‘শরীয়াতুল্লাহ’ বা শরীয়ত বাস্তবায়নে কোনোরূপ আগ্রহ দেখালেন না। তিনি শুধুই শুনলেন! ব্যাথা বা কষ্ট পেলেন তাও এখানে বলা হয়নি।