বাইবেলের বর্ণনায় ঈশ্বর তাঁর প্রিয় নবী মূসাকে (আ.) হত্যা করার চেষ্টা করেন। তাঁর এ হত্যা চেষ্টা সম্ভবত কিছু সময় নিয়েছিল। এ অবসরে মূসার স্ত্রী তাঁকে রক্ষার ব্যবস্থা করেন: ‘‘পরে পথে পান্থশালায় সদাপ্রভু তাঁহার কাছে গিয়া তাঁহাকে বধ করিতে চেষ্টা করিলেন (sought to kill him)। তখন সিপ্পোরা (Zipporah) একখানি পাথরের ছুরি লইয়া আপন পুত্রের ত্বক্ছেদন করিলেন ও তাঁহার চরণের নিকট তা ফেলিয়া দিয়া কহিলেন, আমার পক্ষে তুমি রক্তের বর (Surely a bloody husband art thou to me: নিশ্চয় তুমি আমার জন্য একজন রক্তাক্ত/ রক্তাপস্নুত স্বামী)। আর ঈশ্বর তাঁহাকে ছাড়িয়া দিলেন; তখন সিপ্পোরা কহিলেন, ত্বকছেদ সম্বন্ধে তুমি রক্তের বর (রক্তাক্ত স্বামী: bloody husband)।’’ (যাত্রাপুস্তক ৪/২৪-২৬)
কিতাবুল মোকাদ্দস-২০০৬: ‘‘মিসরে যাবার পথে একটা রাত কাটাবার জায়গায় মাবুদ মূসাকে হত্যা করবার উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর মুখোমুখি হলেন। তখন সফুরা একটা ধারালো পাথর দিয়ে তাঁর ছেলের পুরুষাংগের সামনের চামড়া কেটে নিলেন। তারপর সেটা মূসার পায়ে ছুঁইয়ে বললেন, ‘তুমি রক্তপাত করে পাওয়া আমার স্বামী।’ তখন মাবুদ মূসাকে রেহাই দিলেন। খতনা করাবার ব্যাপারে সফুরা সেই কথা বলেছিলেন।’’
ঈশ্বর মূসাকে হত্যার জন্য চেষ্টা করেও পারলেন না? তিনি হত্যার জন্য মুখোমুখি হয়েও ব্যর্থ হলেন? পুরুষাঙ্গের চামড়া কি ঈশ্বরের এতই প্রিয় বস্ত্ত যে তার জন্য ঈশ্বর হত্যার সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন? রক্তপাত করা ও রক্তাক্ত হওয়া কি তাহলে ঈশ্বরের হত্যার সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ?