বাইবেল বলছে, ঈশ্বর নিজের সম্পাদিত নিয়ম বা চুক্তি মনে রাখতে পারেন না। এজন্য তাঁর স্মারকের প্রয়োজন হয়। নোহের পস্নাবনের পর আর কোনো পস্নাবনে মানুষদের ধ্বংস না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যেহেতু মেঘ থেকেই পস্নাবন সেহেতু তিনি মেঘের সাথে রংধনু সৃষ্টি করলেন। যেন মেঘের রংধনু দেখে তাঁর মনে পড়ে যায় যে, তিনি আর মানুষদের মহাপস্নাবনে মারবেন না বলে ওয়াদা করেছিলেন! নইলে দীর্ঘ দিনের কারণে তাঁর স্মৃতি থেকে ভুল হয়ে যাবে!!
ঈশ্বর নোহ ও তাঁর সঙ্গী পুত্রদেরকে বলেন: ‘‘আমি তোমাদের সঙ্গে ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সঙ্গে চিরস্থায়ী পুরুষ-পরম্পরার জন্য যে নিয়ম স্থির করলাম, তার চিহ্ন এই- আমি মেঘে আমার ধনু স্থাপন করবো, তা-ই দুনিয়ার সঙ্গে আমার নিয়মের চিহ্ন হবে। যখন আমি দুনিয়ার উপরে মেঘের সঞ্চার করবো, তখন মেঘের মধ্যে সেই রংধনু দেখা যাবে; তাতে তোমাদের সঙ্গে ও মরণশীল সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমার যে নিয়ম আছে তা আমার স্মরণ হবে এবং সকল প্রাণীকে বিনাশ করার জন্য বন্যা আর হবে না। আর রংধনু দেখা দিলে আমি তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবো; তাতে জীবন্ত যত প্রাণী দুনিয়াতে আছে তাদের সঙ্গে স্থাপিত আমার চিরস্থায়ী নিয়ম আমি স্মরণ করবো।’’ (আদিপুস্তক/ পয়দায়েশ ৯/১২-১৬, কি. মো.-১৩)
সর্বজ্ঞ ঈশ্বরের স্মৃতির দুর্বলতা অথবা তাঁর জন্য এরূপ স্মারকের প্রয়োজনীতা অনুধাবন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এছাড়া বাইবেল থেকে জানা যায় যে, মেঘ হলেই রংধনু হয় এবং রংধনু দেখলেই ঈশ্বরের নিয়মের কথা মনে পড়ে যায়। তখন তিনি মেঘের বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ কথাটা ভুল। কারণ মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ার পরে যখন সূর্যের আলো পড়ে তখনই রংধনু দেখা যায়। কাজেই বর্ষণ ও পস্নাবনের আগে রংধনু দেখার সুযোগ নেই। বর্ষণ ও পস্নাবনের পরে সূর্যের আলো না পাওয়া পর্যন্ত রংধনু দেখার সম্ভাবনা নেই। রংধনু দেখে বৃষ্টি বন্ধ করার কথাটা সঠিক নয়।