বাইবেলের বর্ণনায় ঈশ্বর প্রতিবন্ধীদের ঘৃণা করেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য তাঁর নিকটবর্তী হওয়া নিষিদ্ধ। লেবীয় ২১/১৬-২০ (মো.-১৩): ‘‘তুমি হারুনকে বল যে, দেহে খুঁত নিয়ে তার কোন বংশধর তার আল্লাহর উদ্দেশ্যে খাবার উৎসর্গ করতে কোরবানগাহের কাছে যেতে পারবে না। অন্ধ, খোঁড়া, বোঁচা নাক, দেহের কোনো অংশ অস্বাভাবিক ভাবে লম্বা, হাত-পা ভাংগা, পিঠে কুঁজ আছে, অস্বাভাবিক রকমের বেটে, চোখ খারাপ, চুলকানি রোগ কিম্বা খোস-পাঁচড়া রয়েছে, অ-কোষ নষ্ট হয়েছে- এমন কোনো লোক, অর্থাৎ খুঁত সুদ্ধ কোনো লোক কোরবানগাহের কাছে যেতে পারবে না।’’
সুপ্রিয় পাঠক, বিষয়টা কি অযৌক্তিক ও অশোভন নয়? অন্ধ, খোঁড়া, বোঁচা নাক, পিঠে কুঁজ... ইত্যাদি কি কোনো ব্যক্তির পাপ? না ঈশ্বরেরই সৃষ্টি? এ কারণে উক্ত ব্যক্তি ঈশ্বরের সেবা বা ইবাদত করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হল? কোনো মা কি তার কোনো সন্তানকে অন্ধ, খোঁড়া, বোঁচা নাক বা হাত-পা ভাঙ্গা হওয়ার কারণে ঘৃণা করবেন? তার সেণহ নেওয়ার জন্য নিকটবর্তী হতে নিষেধ করবেন?
ঈশ্বর বলেন: ‘‘যার অ-কোষ থেঁৎলে দেওয়া হয়েছে কিংবা পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে সে মাবুদের বান্দাদের সমাজে যোগ দিতে পারবে না (দ্বিতীয় বিবরণ ২৩/১, মো.-০৬)। কী দুর্ভাগ্যজনক কথা! মাবুদের বান্দাদের সমাজে যোগদানের জন্য যৌন সক্ষমতার প্রয়োজনটা কী? জোরপূর্বক, দুর্ঘটনা বশত বা কোনো কারণে একজন মানুষ এরূপ আহত হলেই কি তিনি তার মাবুদের বান্দাদের সমাজে যোগদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন? (আরো দেখুন: গণনাপুস্তক/ শুমারী ৫/১-৩)।
অন্যত্র ঈশ্বরের পুত্র, প্রথমপুত্র, একজাত পুত্র ও মাসীহ রাজা দাউদ অন্ধ ও খোঁড়াদেরকে ঘৃণিত বলে ঘোষণা করেছেন এবং অন্ধ ও খোঁড়ারা ঈশ্বরের ঘরে প্রবেশ করবে না বলে বাইবেল উল্লেখ করেছে (২ শামুয়েল ৫/৮)।