ঈশ্বর বলেছেন: ‘‘যদি কেউ তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সংগে, অর্থাৎ অন্য কোন লোকের স্ত্রীর সংগে জেনা করে, তবে জেনাকারী ও জেনাকারিণী দু’জনকেই হত্যা করতে হবে’’ (লেবীয় ২০/১০, মো.-০৬)। নবীগণ বিষয়ক অশোভনীয়তা প্রসঙ্গে আমরা দেখব যে, বাইবেলের বর্ণনায় দাউদ তাঁর প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে জেনা করেন; কিন্তু ঈশ্বর জেনাকারী দাউদ ও জেনাকারিণী বৈৎশেবা কাউকেই হত্যা করেননি। বরং জেনাকারী হওয়ার পরেও দাউদ ঈশ্বরের পুত্র বা ইবনুল্লাহ ছিলেন। ঈশ্বরের অন্য দু’পুত্র শলোমন ও যীশু দাউদ ও বৈৎশেবার বংশধর ছিলেন। এভাবেই ব্যভিচারীদের মহা মর্যাদা দান করেন এবং তাদের বংশেই ঈশ্বরের রাজ্য চিরস্থায়ী করেছেন।
আমরা আরো দেখব যে, দাউদের পুত্ররা বোনের সাথে ও সৎমায়েদের সাথে ব্যভিচার করলেও দাউদ বা ঈশ্বর তাদেরকে বাইবেল নির্ধারিত শাস্তি প্রদান করেননি। বনি-ইসরাইলদের বাদশাহ সম্পর্কে ঈশ্বরের নির্দেশনা: ‘‘সে যেন অনেক বিয়ে না করে; তাতে তার মন বিপথে যাবে। সে যেন নিজের জন্য অতিরিক্ত সোনা ও রূপা জড়ো না করে।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ১৭/১৭, মো.-০৬) এর বিপরীতে আমরা দেখি যে, শলোমন ১০০০ স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন (১ রাজাবলি ১১/৩) এবং তিনি বিশ্বের সকল বাদশাহের চেয়ে বেশি ধনসম্পদ জড়ো করেন (১ রাজাবলি ১০/২৩)। ঈশ্বর তাঁর এ পুত্রকে কোনো শাস্তি দেননি। আমরা দেখব যে, শলোমন শেষ জীবন প্রতিমাপূজা করে অতিবাহিত করেন। বাইবেলে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু ঈশ্বর তাঁর এ পুত্রকে মৃত্যুদণ্ড দেননি।