ঈশ্বর বলছেন: ‘‘যদি কেউ কাউকে খুন করে তবে তাকেও হত্যা করতে হবে।... মানুষ হত্যা করলে মরতে হবে’’ (লেবীয় ২৪/১৭, ২১-২২)। পুনশ্চ: ‘‘কোন লোককে আঘাত করবার ফলে যদি তার মৃত্যু হয় তবে আঘাতকারীকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। কিন্তু খুন করবার মতলব যদি তার না থেকে থাকে, যদি এটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা হয় যাতে আমি বাধা দেননি, তবে সে এমন একটা জায়গায় পালিয়ে যেতে পারবে যা আমি তোমাদের জন্য ঠিক করে দেব।’’ (হিজরত ২১/১২-১৩, মো.-০৬)
বাইবেলের বর্ণনায় মোশি পরিকল্পিতভাবে নরহত্যা করেন: ‘‘তিনি দেখলেন, এক জন মিসরীয় তাঁর ভাইদের মধ্যে এক জন ইবরানীকে মারধোর করছে। তখন তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে ঐ মিসরীয়কে খুন করে বালির মধ্যে পুতে রাখলেন।’’ (যাত্রাপুস্তক/ হিজরত ২/১১-১২, মো.-১৩)।
এ পরিকল্পিত হত্যার জন্য ঈশ্বর মোশিকে হত্যা করলেন না; বরং তাঁকে পুরস্কৃত করলেন ও তাঁকে তাঁর প্রিয় ভাববাদী বানালেন!
গণনাপুস্তক বা শুমারীর ১২ অধ্যায় থেকে আমরা দেখছি যে, মোশির স্ত্রী ইথিওপীয়-আফ্রিকান ছিলেন। বাইবেলের বিধানে অ-ইসরাইলী কোনো মহিলাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ। ইসরাইল বংশের মানুষেরা এরূপ বিবাহ ঘৃণা করতেন। এজন্য মোশির ভাই হারোণ ও বোন মরিয়ম তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেন। এতে ক্রোধে প্রজ্জ্বলিত হয়ে ঈশ্বর মরিয়মকে কুষ্ঠরোগ দ্বারা আক্রমণ করেন। ৭ দিন কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে ছাউনির বাইরে থাকার পর তাঁকে ভিতরে আনা হয়। মজার বিষয় হল, মরিয়ম ও হারুন দুজনেই একই অপরাধ করেন: ‘মরিয়ম ও হারুন মূসার বিরুদ্ধে বললেন’ (গণনা/শুমারী ১২/১) কিন্তু ঈশ্বর শুধু মরিয়মকে শাস্তি দিলেন, হারুনকে কিছুই বললেন না!
আমরা দেখেছি, বনি-ইসরাইলের পূজার জন্য বাছুরের প্রতিমা তৈরি করেন হারুন। অথচ ঈশ্বর তাঁকে কোনোই শাস্তি দিলেন না, অন্যদেরকে হত্যা করলেন।