‘একের অপরাধে অন্যের শাস্তি’ বা ‘পূর্বপুরুষের অপরাধে উত্তর পুরুষের চিরস্থায়ী শাস্তি’ মানবীয় বিচারে যতই অগ্রহণযোগ্য হোক, প্রকৃত বাস্তবে খ্রিষ্টধর্মের ভিত্তি এরূপ ঐশ্বরিক বিচার ব্যবস্থার উপরেই। ‘আদমের পাপে তাঁর সকল বংশধরের শাস্তিযোগ্য হওয়ার বিশ্বাস’ এবং ‘এ শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য একটা বলি বা কাফফারার প্রয়োজনীয়তার বিশ্বাস’- এ দুটো বিশ্বাসের উপরেই খ্রিষ্টধর্মের ভিত্তি।
আদম থেকে যীশু পর্যন্ত ৭৫ প্রজন্ম (লূক: ৩য় অধ্যায়) অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও আদম সন্তানরা আদমের পাপের বোঝা বহন করে বেড়াচ্ছে। যদি ভালরকম একটা প্রায়শ্চিত্ত না করা যায় তবে লক্ষ কোটি প্রজন্মের সকল আদম-সন্তানকেই আদমের পাপের কারণে নরকে যেতে হবে। এজন্য পিতা ঈশ্বর দেখলেন, পুত্র ঈশ্বরের ইহুদিদের হাতে লাঞ্ছিত ও ক্রুশবিদ্ধ হওয়াই আদমের পাপের যথাযথ প্রায়শ্চিত্ত। আদমের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে ৭৫ প্রজন্ম পরে ঈশ্বরের পুত্রকে বলি দিতে হল।