বনি-ইসরাইলের একজন মহাযাজক এলি (Eli)। কিতাবুল মোকাদ্দসে তার নাম ‘ইমাম আলী’। ঈশ্বর তাকে চিরস্থায়ী যাজকত্ব প্রদান করেন: ‘‘আমি অবশ্য বলেছিলাম যে, তোমার ও তোমার পূর্বপুরুষদের বংশের লোকেরা চিরকাল আমার এবাদত-কাজ করবে’’ (১ শামুয়েল ২/৩০)। কিন্তু এলির পুত্ররা যাজক বা ইমাম হয়ে ইবাদত করতে আসা মহিলাদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। যাজক এলি বা ইমাম আলী তাদের কিছু তিরস্কার করলেও তাদের কোনো শাস্তি দেন না। এজন্য ঈশ্বর বলেন: ‘‘কেন তুমি আমার চেয়ে তোমার ছেলেদের বড় করে দেখছ?’’ (১ শামুয়েল ২/২৯)। এলির এ অপরাধে ঈশ্বর তাঁর সিদ্ধান্ত বাতিল করে যাজকত্বের পদ তার থেকে কেড়ে নেন। উপরন্তু তিনি এলির শাস্তির ব্যবস্থা করেন। তবে তিনি এলিকে কোনো শাস্তি দেননি। তাঁর অপরাধী পুত্রদ্বয়কে এবং তাঁর নিরাপরাধ বংশধরদেরকে শাস্তি দিয়েছেন: ‘‘তোমার বংশে একটি লোকও বুড়ো বয়স পর্যন্ত বাঁচবে না... তোমার বংশের সমস্ত লোক যুবা বয়সেই মারা যাবে। তোমার দুই ছেলে হফনি ও পীনহস একই দিনে মারা যাবে....। তোমার বংশের যারা বেঁচে থাকবে তারা এক টুকরা রূপা ও একটি রুটির জন্য তার কাছে এসে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সালাম করবে...।’’ (১ শামুয়েল ২/৩১-৩৬, মো.-০৬)
এলির দু’পুত্রের একত্রে হত্যার কথা ঈশ্বর বললেন। তবে তার সাথে ত্রিশ হাজার মানুষেরও মৃত্যুর ব্যবস্থা তিনি করেন: ‘‘তখন ফিলিস্তিনীরা যুদ্ধ করল আর বনি- ইসরাইলরা হেরে গিয়ে নিজের নিজের বাড়িতে পালিয়ে গেল। বনি-ইসরাইলদের অনেককে হত্যা করা হল; তাদের ত্রিশ হাজার পদাতিক সৈন্য মারা পড়ল। ... আলীর দুই ছেলে হফ্নি আর পীনহস মারা পড়ল। (১ শামুয়েল ৪/১০-১১, মো.-০৬)