পবিত্র বাইবেল পরিচিতি ও পর্যালোচনা পঞ্চম অধ্যায় - বিকৃতি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
৫. ৫. ৫. ঈশ্বরের দুষ্ট আত্মা ও মিথ্যাবাদী আত্মা

সম্মানিত পাঠক, খুবই অবাক হতে হয়! একটা ধর্মগ্রন্থ তার নিজস্ব রূপে থাকতে পারল না? ঈশ্বর বা পাক-রূহের প্রেরণায় বা নবীর মাধ্যমে পাওয়া ধর্মগ্রন্থ তো একটাই। কিন্তু সেই একটা গ্রন্থের মধ্যে পুস্তক, অধ্যায়, শ্লোক, বাক্য ও শব্দের এত ভিন্নতা! এই ব্যাপক সংযোজন বা বিয়োজন ঘটালেন সেই ধর্মগ্রন্থের অনুসারী ধর্মপ্রাণ ধার্মিক ধর্মগুরুরা! অথচ সে ধর্মগ্রন্থেই এরূপ কর্ম কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কিভাবে এবং কেন এ সকল ধার্মিক মানুষ ধর্ম-নিষিদ্ধ এ কর্মে লিপ্ত হলেন?

আমরা দেখেছি যে, ঈশ্বর নিজের নবী, মাসীহ বা ধার্মিকদের কাছে দুষ্ট আত্মাও প্রেরণ করেন (১ শমূয়েল ১৬/১৪; ১৬/২৩; ১৯/৯-১১)। আমরা আরো দেখেছি যে, ঈশ্বর অনেক সময় নিজের নবীগণের বা ধার্মিকগণের কাছে মিথ্যাবাদী আত্মা প্রেরণ করেন। (১ রাজাবলি ২২/১৫-২৩; বিশেষত: ২২/২২-২৩; ২ বংশাবলি ১৮ অধ্যায়, বিশেষত ১৮/৪-৫; ২১-২২)। ঈশ্বর তাদের কাছে ভ্রান্তির কার্যসাধন পাঠান, ফলে তারা মিথ্যায় বিশ্বাস করে। (২ থিষলনীকীয় ২/১১-১২)।

তাহলে কি পবিত্র বাইবেলের লিপিকার, অনুবাদক, প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট ধর্মগুরুরা ঈশ্বরের পক্ষ থেকে এরূপ কোনো দুষ্ট আত্মা বা মিথ্যাবাদী আত্মা লাভ করেছেন? যাকে তাঁরা পবিত্র আত্মা মনে করে তার প্রেরণায় এভাবে পবিত্র বাইবেলের মধ্যে পুস্তক, অধ্যায়, শ্লোক, বাক্য ও শব্দ সংযোজন করে, অথবা বিয়োজন করে চিরস্থায়ী অভিশাপ, গজব ও ধ্বংসের পথে ধাবিত হয়েছেন? নয়লে কিভাবে তারা ধর্মগ্রন্থের মধ্যে এরূপ বিকৃতি, সংযোজন বা বিয়োজন করলেন?