সত্যের ব্যতিক্রমই মিথ্যা। সত্যকে পরিবর্তন করাই অবিশ্বস্ততা। এভাবে আমরা দেখছি যে, উপরের চার পর্যায়ের ভিন্নতার ক্ষেত্রে যে কোনো একটা সংস্করণ, সম্প্রদায় বা পাণ্ডুলিপি বাদে বাকি সকল সম্প্রদায়ের বাইবেল, সকল সংস্করণ বা সকল পাণ্ডুলিপিই সংযোজন, বিয়োজন বা পরিবর্তন জনিত মিথ্যা ও অবিশ্বস্ততায় পতিত।
পবিত্র বাইবেলে বলা হয়েছে যে, মিথ্যা ঈশ্বরের নিকট ঘৃণিত, বিশ্বস্ততা মুক্তির পথ এবং অনন্ত নরকই মিথ্যাবাদীদের চিরস্থায়ী ঠিকানা। দেখুন: লেবীয় ১৯/১১; হিতোপদেশ/ মেসাল ১২/২২; প্রকাশিত বাক্য/ প্রকাশিত কালাম ২১/৮।
সর্বোচ্চ ধার্মিক ধর্মগুরুরাই তো বাইবেল লেখেছেন, অনুলিপি করেছেন, অনুবাদ ও প্রকাশ করেছেন। অথচ বিশ্বের যে কোনো পুস্তকের চেয়ে বাইবেলের মধ্যে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন ও ভিন্নতা অকল্পনীয়ভাবে বেশি। পুস্তক, অধ্যায়, শ্লোক, বাক্য ও শব্দ সব কিছুতেই হাজার রকমের সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন। বাইবেল লেখক, প্রচারক ও প্রকাশক ধর্মগুরুরা কি বাইবেলের এ সকল বক্তব্য পড়েননি? অথবা এগুলোকে ঈশ্বরের সত্য বাণী হিসেবে বিশ্বাস করেননি? এ সকল ধর্মগুরু ও ধার্মিক মানুষদের মধ্যে কাদেরকে আমরা ‘ঈশ্বরের নিকট ঘৃণিত’ ও ‘জ্বলন্ত আগুন ও গন্ধকের হ্রদের মধ্যে চির-অবস্থানকারী সব মিথ্যাবাদীদের’ অন্তর্ভূক্ত বলে গণ্য করব?