যীশু বলেন: ‘‘তাহাদের সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি তাহাদিগকে তোমার নামে রক্ষা করিয়া আসিয়াছি- যে নাম তুমি আমাকে দিয়াছ- আমি তাহাদিগকে সাবধানে রাখিয়াছি, তাহাদের মধ্যে কেহ বিনষ্ট হয় নাই, কেবল সেই বিনাশ-সন্তান হইয়াছে, যেন শাস্ত্রের (the scripture) বচন পূর্ণ হয়: (কি. মো.-০৬: যেন পাক-কিতাবের কথা পূর্ণ হয়।’’ (যোহন ১৭/১২)
এটাও পাক-কিতাবের নামে একটা অসত্য বা ভিত্তিহীন কথা। বর্তমানে বিদ্যমান শাস্ত্র বা পাক-কিতাবের কোথাও এ কথা নেই। উপরের এসকল উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে দু’টা সম্ভাবনা বিদ্যমান: (১) যীশু ও শিষ্যদের যুগে বিদ্যমান শাস্ত্র, বাইবেল বা পাক-কিতাব হারিয়ে গিয়েছে বা বিকৃত হয়েছে, অথবা (২) যীশু বা ইঞ্জিল লেখকরা পাক-কিতাবের নামে ভুল ও বিকৃত তথ্য পরিবেশন করেছেন।
আমরা আরো দেখলাম যে, উপরের অনেকগুলো উদ্ধৃতি ইঞ্জিল লেখকরা যীশুর নামে লেখেছেন। আমরা আগেই বলেছি যে, যীশুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল কারো জন্য এ কথা মেনে নেওয়া কঠিন যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে পাক-কিতাবের নামে অসত্য বা ভিত্তিহীন কথা বলতেন। তাঁকে অভিযুক্ত করার চেয়ে এ সকল ইঞ্জিলের অজ্ঞাতনামা লেখক বা সম্পাদকদের অভিযুক্ত করা অনেক সহজ।