৪. ২. ২৩. পবিত্র আত্মার সহায়তার প্রতিশ্রুতি

মথি (১০/১৯-২০, মো.-১৩) লেখেছেন যে, যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে বলেন: ‘‘কিন্তু যখন লোকে তোমাদেরকে ধরিয়ে দেবে, তখন তোমরা কিভাবে কি বলবে, সে বিষয়ে চিন্তিত হয়ো না; কারণ তোমাদের যা বলবার, তা সেই দন্ডেই তোমাদেরকে দান করা যাবে। কেননা তোমরা কথা বলবে, এমন নয়, কিন্তু তোমাদের পিতার যে রূহ তোমাদের অন্তরে কথা বলেন, তিনিই বলবেন।’’

লূক (১২/১১-১২) যীশুর এ বক্তব্য নিম্নরূপে লেখেছেন: ‘‘আর লোকে যখন তোমাদেরকে মজলিস-খানায় এবং শাসনকর্তাদের ও কর্তৃপক্ষদের সম্মুখে নিয়ে যাবে, তখন কিভাবে কি উত্তর দেবে, অথবা কি বলবে, সে বিষয়ে চিন্তিত হয়ো না; কেননা কি কি বলা উচিত, তা পাক-রূহ সেই সময়ে তোমাদেরকে শিক্ষা দেবেন।’’ (মো.-১৩)

মার্কের ১৩ অধ্যায়েও যীশুর এ শিক্ষা উদ্ধৃত করা হয়েছে (মার্ক ১৩/১১)।

এভাবে সকলেই লিখছেন, যীশু তাঁর শিষ্যদের ওয়াদা করেছেন যে, বিচারক বা শাসনকর্তাদের নিকট তারা যা কিছু বলবেন তা তাদের বক্তব্য হবে না, বরং তা হবে পবিত্র আত্মার বক্তব্য। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখি যে, বিষয়টা সঠিক নয়।

‘প্রেরিত’ পুস্তক বলছে:  ‘‘আর পৌল মহাসভার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে বললেন, হে ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি সর্ব বিষয়ে সৎবিবেকে আল্লাহর সম্মুখে জীবন যাপন করে আসছি। তখন মহা-ইমাম অননিয় (the high priest Ananias), যারা কাছে দাঁড়িয়োছিল, তাদেরকে হুকুম দিলেন, যেন পৌলের মুখে আঘাত করে। তখন পৌল তাঁকে বললেন, হে চুনকাম-করা প্রচীর, আল্লাহ তোমাকে আঘাত করবেন; তুমি শরীয়ত অনুসারে আমার বিচার করতে বসেছ, আর শরীয়তের বিপরীতে আমাকে আঘাত করতে হুকুম দিচ্ছ? তাতে যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা বললো, তুমি কি আল্লাহর মহা-ইমামকে কটুবাক্য বলছো? পৌল বললেন, হে ভাইয়েরা, আমি জানিতাম না যে, উনি মহা-ইমাম; কেননা লেখা আছে, ‘‘তুমি স্বজাতীয় লোকদের নেতাকে দুর্বাক্য বলো না।’’ (প্রেরিত ২৩/১-৫: মো-১৩)

কিতাবুল মোকাদ্দস-২০০৬: তখন পৌল বললেন, ‘ভাইয়েরা, আমি জানতাম না যে, এ মহা-ইমাম। যদি জানতাম তাহলে ঐ কথা বলতাম না, কারণ, পাক কিতাবে লেখা আছে, তোমার জাতির নেতাকে অসম্মান কোরো না।’’

ইঞ্জিলত্রয় থেকে উদ্ধৃত উপরের বক্তব্যগুলো সত্য হলে পল ভুল করতেন না। পবিত্র বাইবেল নিশ্চিত করেছে যে, পল যীশুর প্রেরিত বা সাহাবীর (Apostle) মর্যাদা লাভ করেন। পবিত্র বাইবেলের মধ্যেই বিদ্যমান যে, পল প্রেরিত-চূড়ামণি বা বিশেষ সাহাবী পিতরের চেয়ে কোনো অংশে কম নন। (২ করিন্থীয় ১১/৫; ১২/১১।) সেই ‘প্রেরিত-চূড়ামণি’ পবিত্র-ব্যক্তির এ ভুল প্রমাণ করে যে, উপরের কথাগুলো সঠিক নয়। পবিত্র-আত্মা কি ভুল করেন? পবিত্র আত্মা কি মহাযাজককে চিনতে পারেন না?